বিজেপির অন্দরে প্রার্থী নিয়ে যে মুষলপর্ব চলছিল সেটা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। অনেক কেন্দ্রের প্রার্থীই পছন্দ নয় নীচুতলার কর্মীদের। কিন্তু সেটা এতদিন চেপে রাখা হচ্ছিল। আজ, বুধবার সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যা বড় ড্যামেজ বলে মনে করা হচ্ছে। এই ড্যামেজ কন্ট্রোল বিজেপি কেমন করে সামাল দেবে তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির অন্দরে প্রার্থী অসন্তোষ এবার চরম আকার নিল। প্রকাশ্যে পোস্টার দিয়ে প্রার্থীর বিরোধিতা করা হয়েছে। এমনকী সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর নাম তুলে ধরে বিরোধিতা করা হয়েছে।
এদিকে এবারের লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভার দুটি আসন খালি হওয়ায় তার উপনির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে সূত্রের খবর। আর তাতেই নাকি ছন্নছাড়া ভাব দেখা গিয়েছে। আর বেশ কিছু আসন এই কারণেই হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজেপির কর্মীরা। এবার লোকসভা নির্বাচনে দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। আগে সিপিএম করতেন। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে প্রবেশ। এই প্রার্থীকে মেনে নিতে রাজি নয় বিজেপির কর্মীরা। পোস্টারে সেই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীকে মানা হবে না বলে পড়ল পোস্টার।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলে দম্পতির মধ্যে, স্ত্রীকে নিজেই খুন করেছিলেন চিকিৎসক!
অন্যদিকে বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি খালি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস রায় এখন দলবদল করে বিজেপিতে গিয়েছেন। ফলে আসনটি খালি হয়েছে। এখানে প্রার্থী করা হয়েছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সজল ঘোষকে। তাই পোস্টারে লেখা হয়েছে, দমদম লোকসভা কেন্দ্র এবং বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্র হাতছাড়া করার চক্রান্ত করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী মানছি না, মানব না। সুতরাং নির্বাচন হওয়ার আগেই যেন ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী –কে ওই পোস্টারে চক্রান্তকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই পোস্টার কাণ্ডের নিয়ে সজল ঘোষ বলেছেন, ‘এই কাজের পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত আছে। এটা দিন চার–পাঁচদিন আগেই পড়েছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেস করাচ্ছে। আইপ্যাকের টেকনিক। কোনও লাভ হবে না।’ ডানলপ এলাকায় এই পোস্টার পড়েছে। সেভ বেঙ্গল বিজেপি বলে পোস্টার পড়েছে। গতকাল সজল ঘোষের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তারপর সজল ঘোষ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গিয়ে বৈঠকও করেন। কিন্তু বরাহনগরের বিজেপি কর্মীরা সজল ঘোষকে মেনে নিতে রাজি নয় বলেই অভিযোগ। তারপরই এমন পোস্টার পড়ল। তলায় লেখা, বিজেপি কর্মীবৃন্দ। এখন দেখার এই বিরোধের শেষ কোথায় হয়।