এবারের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর কেন্দ্র বেশ নজরকাড়া। কারণ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্র থেকে বারবার জিতে এসেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোসকে। সিপিএম এখানে প্রার্থী করেছে দীপ্সিতা ধরকে। সুতরাং টানটান লড়াই হবে। বাংলায় ১৫টি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও বাংলায় এখনও দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাকি বিজেপির। এই আবহে এবার প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন শ্রীরামপুরের প্রার্থী।
এদিকে বাংলায় ইতিমধ্যেই এসে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলা থেকে কোনও আসনে লড়াইয়ের জন্য আবেদন করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘উনি এখানে ঘর ভাড়া করে থাকুন না। একটা কাজ করুন, এখনও তো সময় আছে। উনি একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন না। বারাণসীতে কেন? শ্রীরামপুরে দাঁড়িয়ে পড়ুন।’
আরও পড়ুন: কংগ্রেস ঘাটালে প্রার্থী দেওয়ায় ক্ষেপে গেল সিপিএম, ক্ষোভ চরমে, ভাঙবে কি জোট?
অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার এবং আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপি এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি। এই দুই কেন্দ্র থেকেও প্রধানমন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন কল্যাণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, ‘উনি যে কত বড় অভিনেতা সবাই জানে। উনি সারা দেশের কতটা ক্ষতি করেছেন সেটাও সবাই জানে। উনি যে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছেন সেটাও সবাই জানে। তাই উনি প্রয়োজন মনে করলে বাংলায় এসে বাংলার কোনও আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। কারণ নিজের কেন্দ্রে তিনি ঢালাও কাজ করেছেন। তাছাড়া মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে এই আইনজীবীর। তার সঙ্গে রয়েছে শক্তিশালী সংগঠন। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারেন। ভরা বিজেপির হাওয়াতেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে হারানো যায়নি। সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন তো জমে উঠেছে। আজ, সোমবার সকালে রঘুনাথপুর পঞ্চায়েত অঞ্চল থেকে প্রচার শুরু করে উত্তরপাড়া মাখলা এলাকা পর্যন্ত রোড শো করে জনসংযোগ ও প্রচার করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রচারে তিনি দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে যে টাকা সংসদের তহবিলে পেয়েছেন পুরোটাই খরচ করেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও পুরসভার কাউন্সিলররা।