রাজবংশী ভোট কাদের দিকে থাকবে তা নিয়ে ভোট এলেই শুরু হয়ে যায় দড়ি টানাটানি। এবারও এসেছে ভোট। আর তৃণমূল-বিজেপি দু পক্ষই তাদের মতো করে ময়দানে নেমে পড়েছে। শনিবার কোচবিহারে শক্তি প্রদর্শন করল তৃণমূল। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রোড শো হল কোচবিহারের সিতাইতে। এই সিতাইয়ের বাসিন্দা জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবার কোচবিহার আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তার বিপরীতে রয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এক সময়ে তিনিই ছিলেন তৃণমূলে। এখন তিনিই বিজেপির প্রার্থী। সেই নিশীথকে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন অভিষেক। তিনি বলেন, এখানকার প্রার্থী আপনাদের ভোট নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে প্যালেস বানিয়েছেন। আর মানুষের দিকে ফিরেও তাকাননি। পাঁচ বছর উন্নয়নের কথা বলেননি। আবার ভোট চাইতে এসেছেন। একদিকে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অন্য দিকে আমাদের প্রার্থী শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র, আপনারা বিবেচনা করে ভোট দিন।
রাজবংশী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মূলত রাজবংশীদের উন্নয়নে সরকার কী কী করেছে সেই প্রসঙ্গও ওঠে। এদিকে এবার লোকসভা ভোটে রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্ককে কেন্দ্র করে একেবারে এক অদ্ভূত সমীকরণ তৈরি হয়েছে কোচবিহারে।
গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্য়াসোসিয়েশন। রাজবংশীদের দাবি দাওয়া নিয়ে নানা সময়ে আন্দোলনে নামে এই জিসিপিএ। এই জিসিপিএ বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত। সংগঠনের একাংশে রয়েছেন বংশীবদন বর্মন। তিনি এবার তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছেন। তৃণমূলের হয়ে প্রচারও করছেন। আবার অন্য়দিকে জিসিপিএর অপর গোষ্ঠীর নেতা হলেন অনন্ত রায়। তিনি অনন্ত মহারাজ বলে পরিচিত। বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করেছে বর্তমানে। কিন্তু তারপরেও অনন্ত রায় কতটা বিজেপির পক্ষে রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন। এমনকী রাজবংশীদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ যথাযথ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন বলে খবর। আর অনন্তর এই কথাকেই হাতিয়ার করছে তৃণমূল।