কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা মঙ্গলবার দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইস্তেহারকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, শীঘ্রই ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) সর্বশেষ বৈঠকে কীভাবে দলের গ্যারান্টি জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এই দেশের মানুষের কাছে গ্যারান্টি পৌঁছে দিতে আমাদের ব্যাপক গ্যারান্টি থাকবে। বেণুগোপাল বলেন, কংগ্রেস ভারতীয় জনতা পার্টিকে পরাজিত করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ’গণতন্ত্রে জনগণই প্রভু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নন। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কে শাসন করবে।
কংগ্রেসের জনসংযোগ প্রধান জয়রাম রমেশ বলেছেন, দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমাদের ইশতেহারে বলা থাকবে আমাদের লক্ষ্য ও এজেন্ডা কী। আমাদের একটি ন্যায় (ন্যায়বিচার) এজেন্ডা। এটা ন্যয়পত্র (ন্যয়পত্র, ঘোষনা পত্র (নির্বাচনী ইস্তাহার) নয়,' বলেন রমেশ।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীই প্রথম রাজনীতিতে গ্যারান্টি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এখন অন্য দলগুলো গ্যারান্টি ব্যবহার করছে। মনে রাখবেন, এটা কোনও ব্যক্তির নয়, গোটা দলের গ্যারান্টি। 'ইশতেহারে একটি সম্পূর্ণ বিভাগ ফেডারেল এজেন্সিগুলিতে থাকবে ... এসব সংস্থার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের ইস্তেহার। সেই ইস্তেহারে কী ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই। একদিকে ইন্ডিয়া জোট। আর অন্যদিকে এনডিএ। তবে শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোটের অস্তিত্ব কতটা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে কংগ্রেসের কাছে এবার একটা অগ্নিপরীক্ষা। সেই অগ্নিপরীক্ষায় কতটা দাগ কাটতে পারে কংগ্রেস সেটাও দেখার।
ইতিমধ্য়েই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গোটা দেশজুড়ে ন্যায় যাত্রায় বেরিয়েছিলেন। সেই ন্যায় যাত্রার প্রভাব শেষ পর্যন্ত কতটা পড়বে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে ইস্তেহারের চমক কী ধরনের থাকে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।