'মোদীর রূপে ভারতে নয়া পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) তৈরি হচ্ছে'- এমনই মন্তব্য করলেন শরদ পাওয়ার। সোমবার মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে কংগ্রেস প্রার্থী বলওয়ান্ত ওয়াংখেড়ের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা থেকে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) সুপ্রিমো পাওয়ার দাবি করেন যে মোদী যখন সংসদে প্রবেশ করেন, তখন একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, পাওয়ার বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন যে ভারতে একজন পুতিন তৈরি হচ্ছেন।’ সেইসঙ্গে অতীতের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদীর তুলনা করে পাওয়ার দাবি করেন যে নিজের ভাষণে নয়া ভারত গড়ে তোলার উপর জোর দিতেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। কিন্তু মোদী নিজের ভাষণে নেহরু, কংগ্রেস এবং অন্যান্যদের সমালোচনা করতেই ব্যস্ত থাকেন। শেষ ১০ বছরে মানুষের জন্য তাঁর সরকার কী করেছে, তা নিয়ে মোদী মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন বলে দাবি করেন পাওয়ার।
পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদীর তুলনায় পাওয়ার
পাওয়ার বলেন, 'আমি খুব কাছ থেকে অনেক নেতাদের দেখেছি। প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর পরে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, নরসিমহা রাও থেকে মনমোহন সিং- আমি প্রায় সব প্রধানমন্ত্রীর কাজের ধরন দেখেছি। নেহরুর ভাষণে নয়া ভারত তৈরির উপর জোর দেওয়া হত। কিন্তু নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী শুধুমাত্র নেহরু, কংগ্রেস এবং অন্যান্যদের সালোচনা করতে ব্যস্ত থাকেন। গত ১০ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর সরকার কী করেছে, তা নিয়ে কিছু বলেন না।'
কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করে মোদী ভালো কাজ করছেন না, মত পাওয়ারের
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, মারাঠি সংবাদমাধ্যম জি২৪ তাসের অনুষ্ঠানে পাওয়ার জানান যে কংগ্রেস এখন ক্ষমতায় নেই। তারপরও কংগ্রেসকে যে লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছেন মোদী, সেটা মোটেও ভালো সিদ্ধান্ত নয়। মোদী কংগ্রেসের সমালোচনা করে যান। কিন্তু নিজের সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেন না বলে দাবি করেছেন পাওয়ার।
তিনি বলেন, 'কয়েক বছর ধরেই ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস। কিন্তু সেই দলকে আক্রমণ চালিয়েই যেতে থাকেন মোদী এবং অভিযোগ করেন যে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস। এটা মোটেও কোনও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নয়। কোনও দল বিরোধী আসনে আছে মানে এই নয় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের কোনও পাত্তা দেওয়া হবে না।'