বহরমপুরে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর প্রচারে বার বার তৃণমূলের বাধার বিরোধিতায় মুখ খুললেন দলেরই আরও এক বিধায়ক। শাহিনা মমতাজের পর এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বিরোধিতা থাকতেই পারে, কিন্তু মনে রাখতে হবে সব প্রার্থীর প্রচারের সমান অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০১৬ প্যানেল বাতিলে বাংলার স্কুলগুলিতে কতটা শূন্যতা তৈরি হবে? বিস্ফোরক পরিসংখ্যান পর্ষদের
পড়তে থাকুন: ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করুন’, এসএসসি কাণ্ডে সুর চড়ালেন শুভেন্দু
বিস্ফোরক হুমায়ুন
এদিন হুমায়ুন কবির বলেন, ‘অধীরবাবুর সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। তবে উনি এবার কেন ছোট ছোট বিষয়ে রেগে যাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। যে সব বিষয় উপেক্ষা করে বেরিয়ে যাওয়া উচিত সেখানে উনি গাড়ি থেকে নেমে ধাক্কাধাক্কি করছেন’।
হুমায়ুন কবিরের মতে, ‘তবে অধীর চৌধুরীর প্রচারে বিক্ষোভ দেখানো উচিত নয়। উনি ৫ বারের সাংসদ। তাছাড়া নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট চাওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেই অধিকার প্রার্থীকে দিয়েছে। তাই কোনও প্রার্থীকে উদ্দেশ করে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া ঠিক নয়। যারা এটা করছে তাদের কাছে দলের তরফে এরকম কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। আমরা অবশ্যই আমাদের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করব। তার মানে এই নয় যে অধীরবাবুকে দেখলেই গো ব্যাক স্লোগান দিতে হবে। তৃণমূলের কোনও দায়িত্ববান নেতা এটা করছে না’।
অধীরকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের
ভোটপ্রচারে বহরমপুরের একাধিক জায়গায় তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন অধীরবাবু। কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের এই কাজের বিরোধিতা করে এর আগে মুখ খুলেছিলেন নওয়াদার তৃণমূল বিধায়ক শাহিনা মমতাজ। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা অসভ্যতা - নোংরামি হয়েছে। কোনও প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া যায় না। এই কাজকে মোটেও সমর্থন করছি না।’
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে দেবের সামনে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি চলল, কেন এমন ঘটল? সামলালেন নেতা
তৃণমূলের বিক্ষোভকে গুরুত্ব না দিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে ভয় পাচ্ছে। ভাবছে আমার যাতায়াতের পথ আটকে যদি তৃণমূলের কোনও সুবিধা করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন। এসে তিনি ভাইদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন যে কী করতে হবে। তাঁকে আমি একটা কথাই বলতে চাই, দিদি, আমরা কেউ দুর্বল না। আপনার দলের নেতারা পুলিশ নিয়ে মস্তানি করে। আমরা মানুষ নিয়ে চলি। আগামী দিনে মুর্শিদাবাদে ৩টে আসনে আপনাকে উৎখাত করব আমরা। এদিন কংগ্রেস কর্মীরা এই শপথ আরও কঠোর ভাবে নিলেন। এই ধরণের অসভ্যতা নোংরামি মুর্শিদাবাদের মানুষ মানবে না। আপনার রক্তচক্ষু অন্য কাউকে দেখাবেন, আমাদের দেখাবেন না।’