তাঁর বিয়েতে নেমতন্ন গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর কাছে। মোদীর হয়ে প্রচার করেছিলেন তাঁর ভাই। আর শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীর দল বিজেপির বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়তে চলেছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। আর তাঁকে বহরমপুর থেকে দাঁড় করানোয় একইসুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিঁধেছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। বিজেপির বক্তব্য, যে তৃণমূল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বহিরাগত বলে, তারা ইউসুফের ক্ষেত্রে কী বলবে? অন্যদিকে, কংগ্রেসের বক্তব্য, অধীর চৌধুরীকে হারানোর জন্য ‘বহিরাগত’ ইউসুফকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মুখ খোলেননি গুজরাটের বরোদার ছেলে ইউসুফ।
এমনিতে মোদীর সঙ্গে পাঠান পরিবারের সম্পর্ক নেহাত খারাপ নয়। ২০১২ সালে মোদীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন ইউসুফের ভাই ইরফান। সেইসময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। আর বিধানসভা ভোটের জন্য জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছিল বিজেপি। সেই ঘটনার কয়েক মাস পরেই ইউসুফের বিয়ের জন্য মোদীকে নেমতন্ন করেছিলেন। সেজন্য মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ইরফান। মোদীকে দাদার বিয়ের জন্য নেমতন্ন করেছিলেন তিনি।
তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে ইউসুফ
ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’ থেকে বহরমপুরের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণার পরে ইউসুফ বলেন, 'আমি চিরকালের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কৃতজ্ঞ। যিনি আমায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিবারে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সংসদে মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার জন্য আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাওয়াই আমার কর্তব্য।'
ইউসুফকে প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপি
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা অভিযোগ করছেন যে বিজেপি নাকি বাংলা-বিরোধী। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা দেখলেই বোঝা যাবে যে মমতারাই বহিরাগতদের নিয়ে এসে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করছেন। ইউসুফ বা কীর্তি আজাদরা যে বাঙালি, সেটা জানা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মতোই ইউসুফও গুজরাটের লোক। অথচ তৃণমূলের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদী বহিরাগত।
ইউসুফের প্রসঙ্গে কংগ্রেস
যে আসন থেকে ইউসুফকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, সেই আসনে জিতে আসছেন কংগ্রেস অধীর। তিনি অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি এবং তৃণমূল মিলে কংগ্রেসকে হারানোর চক্রান্ত করছে। যদি ইউসুফকে সম্মান দিতে চাইত, তাহলে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারত অথবা ইন্ডিয়া জোটকে বলে গুজরাট থেকে তাঁকে দাঁড় করানোর জন্য আর্জি জানাতে পারত তৃণমূল।