মাসদেড়েক আগেই চরম টালবাহানার সাক্ষী ছিল পুদুচেরি। সেই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর নয়া সরকার গঠনের জন্য ভোট দিলেন পুদুচেরিবাসী। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত ৭৭.৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে সেই হার বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার পুদুচেরির ৩০ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ইয়ানাম কেন্দ্রে সবথেকে বেশি ৮৫.৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। মাহেতে ভোট পড়েছে সবথেকে কম ৬৯.৯২ শতাংশ। এছাড়া কড়াইকাল জেলা এবং পুদুচেরি জেলায় ভোটদানের হার যথাক্রমে ৭৬.৭৪ এবং ৭৮.১৪ শতাংশ।
বিধানসভা নির্বাচনের মাসদেড়েক আগে পুদুচেরিতে পড়ে যায় কংগ্রেস সরকার। একের পর এক বিধায়কের ইস্তফার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন ভি নারায়ণস্বামীরা। পরে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণের দিন হার নিশ্চিত জেনে ওয়াক-আউট করেছিলেন সরকার পক্ষের বিধায়করা। দেড় মাসের জন্য সরকার গঠনের দাবি জানায়নি কোনও বিরোধী দল। ফলে আপাতত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় পুদুচেরিতে।
উল্লেখ্য, পুদুচেরি বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩৩। তিনজনকে মনোনীত করে কেন্দ্র। ফলে বিধানসভা ভোটে ৩০ আসনে লড়াই হয়। ২০১৬ সালে ডিএমকের তিনজন এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। নিজেদের হাতে ছিল ১৫ জন। বিরোধী এআইএডিএমকে এবং অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল যথাক্রমে চারটি এবং সাতটি আসন।