প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে বসেই পঞ্জাব নির্বাচনে শেষবেলার প্রচার সারলেন। ৭ লোক কল্যাণ মার্গে অবস্থিত তাঁর সরকারি বাসভবনে তিনি শিখ সম্প্রদায়ের ৩৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাত করলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে ভোটগ্রহণ। তার আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল প্রচারের শেষ দিন। সেদিন দিল্লিতে বসেই শিখ ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকের ছবি টুইট করে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা নিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে সদয় কথা শুনে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি এটাকে আমার সম্মান মনে করি যে সম্মানিত শিখ গুরুরা আমার কাছ থেকে সেবা পেয়েছেন এবং তাঁদের আশীর্বাদ আমাকে সমাজের জন্য কাজ করতে সক্ষম করেছে।’
বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা এই বৈঠকের আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রী জানান যে তাঁর হৃদয়ে শিখ রয়েছে। কর্তারপুর করিডোর খোলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথাও তুলে ধরেন মনজিন্দর।
যমুনানগরের সেবাপন্থীর সভাপতি মহন্ত করমজিৎ সিং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিখ তাঁর রক্তে রয়েছে এবং তিনি সর্বদা এই সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত বোধ করেন কারণ পাঞ্জ প্যারাদের একজন ছিলেন গুজরাটের দ্বারকার।’ দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি হরমিত সিং কালকা শিখদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি সম্প্রদায়ের জন্য যে কাজ করেছেন (এসআইটি গঠন, প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের গ্রেপ্তার, কর্তারপুরের উদ্বোধন করিডোর) তা শিখদের অনুভূতিকে সম্মান করেছে।