তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তাতে উঠে আসছে নানা দিক। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে কংগ্রেসের পরিস্থিতি যে এমনটা হতে পারে তা নিয়ে আগে থেকে কোনও আন্দাজ ছিল না। উল্টে তারা দুটি রাজ্যে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল। ফলে প্রচারেও তাদের এই ফাঁকফোকরগুলো নজরে এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবীণদের উপর অত্যাধিক নির্ভর করেছেন রাহুল গান্ধী তার প্রভাবও ভোটের ফলে পড়েছে।
মধ্যপ্রদেশে ‘অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সিতে’ জর্জরিত ছিল বিজেপি। তা এতটাই দৃশ্যমান ছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী শিবারাজ সিং চৌহানকে প্রচারের মুখ করতে চায়নি দল। তা সত্ত্বে সেখানে ভাল ফল করতে পারেনি কংগ্রেস।
প্রদেশ সভাপতি কমল নাথ মনে করেছিলেন, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ, দুর্নীতি, কর্মসংস্থানের অভাব এই সবই কংগ্রসেকে জিতিয়ে দেবে। ফলে নিবিড় ভাবে প্রচারেও সেভাবে মন দেননি তিনি। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি এমন কি ‘জন আক্রোশ যাত্রা’ এর বিরুদ্ধেও ছিলেন যা পার্টি শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে দলীয় নেতাদের পীড়াপীড়িতে সাতটি রুট/অঞ্চলে নিয়েছিল।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য রণদীপ সুরজেওয়ালাকে নিয়োগ করার আগে মধ্যপ্রদেশে তিনজন এআইসিসি ইনচার্জকে পরিবর্তন করা হয়েছিল। মুকুল ওয়াসনিক এবং জেপি আগরওয়ালকে সরানোর জন্য অনুরোধ করা হয়, কারণ তারা প্রভাবশালী নাথের সঙ্গে পেরে উঠছিলেন না।
(পড়তে পারেন। কোন কৌশলে ফের ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় বিজেপি)
(পড়তে পারেন। মধ্যপ্রদেশে জয়ে অন্যতম কাণ্ডারি, নিজের গড় ধরে রেখে কংগ্রেসকে জবাব সিন্ধিয়ার)
রাহুল গান্ধী কমল নাথকে লাগাম দিতে পারেননি, যখন তিনি সুনীল কানোগুলুকে রাজ্যে কাজ করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিলেন এবং পরিবর্তে তার নিজস্ব সংস্থাগুলি কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।
রাজস্থানে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে তর্কেও জিততে পারেননি রাহুল। কংগ্রেস নেতা ভোটে নতুন মুখকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গেহলট অনড় থাকেন তাঁর অনুগত বিধায়কদের দাঁড় করাতে, যাঁরা শচীন পাইলটের নেতৃত্বে বিদ্রোহে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
অন্য দিকে ছত্তিশগড়ে, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের কৌশলে ‘অতি আস্থা’ অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। কংগ্রেস সম্প্রদায়গুলিকে বিশেষভাবে প্রজেক্ট করার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের উপর আস্থা রেখেছিল। যার উল্টোটা বিজেপি করে সাফল্য পেয়েছে।