প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘পনৌতি’ (অপয়া) বলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেজন্য তাঁকে মোদীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি যা কাজ করেছেন, তা চূড়ান্ত অপমানকর এবং লজ্জাজনক। এমনই দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ-সহ বিজেপি নেতারা। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ রাহুলের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে রাজীব লেখেন, 'তাহলে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি'কে পনৌতি বলছেন রাহুল। এখানে ভণ্ডামিরও বেশি কিছু আছে। ৫৫ বছরের যে ব্যক্তি নিজে জীবনে একটা দিনেও কাজ করেননি, যাঁর পরিবার দুর্নীতির মাধ্যমে পরজীবীর মতো দশকের পর দশক ধরে দেশকে শোষণ করেছে এবং যাঁদের সরকার আর্থিক দিক থেকে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে এরকম কথা বলছেন, সেটা হতাশা এবং মানসিক অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে।'
রাহুলের সেই ভিডিয়োয় কী ছিল? কংগ্রেসের অফিসিয়াল ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে কংগ্রেসের তরফে রাহুলের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। যে ভিডিয়োয় রাহুলকে উদ্দেশ্য করে কয়েকজনকে কিছু বলতে শোনা যায়। সেটার জবাবে রাহুল বলেন, ‘কী? কী?’ তারপর রাহুল বলেন যে 'পনৌতি, পনৌতি।' তারপরই তুমুল হাততালির শব্দ শোনা যায়। হাসিমুখে রাহুল বলেন, 'আমাদের ছেলেরা ওখানে ভালোভাবেই বিশ্বকাপ জিতে যেত। কিন্তু ওখানে পনৌতি হারিয়ে দিল। টিভির লোকজন এসব বলবেন না। কিন্তু মানুষ জানেন।'
ওই ভিডিয়োয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম না বললেও সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বালোত্রায় বলেন যে ‘পিএম মানে পনৌতি মোদী’। সেইসঙ্গে তিনি বলেন যে ‘(উনি) টিভিতে আসেন এবং হিন্দু-মুসলিম বলেন। কখনও কখনও ক্রিকেট ম্যাচে যান।’
আর সেই ‘পনৌতি’ মন্তব্য নিয়েই রাহুলকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘এটা খুবই জঘন্য মন্তব্য। ম্যাচ খেলা হয়। ম্যাচে কেউ জেতে, কেউ হারে। উনি কংগ্রেসের ঐতিহ্য বজায় রাখছেন।’ অন্যদিকে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। নাহলে এই বিষয়টার শেষ দেখে ছাড়ব।’
যদিও পালটা বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, 'রাহুলজি যেটা বলেছেন, সেটা শেষ দু'দিন ধরেই অনেকে ভাবছেন।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতার বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাইলে সেই তালিকার একেবারে শেষে বিজেপি থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ এই গডসে ভক্তরা রূঢ় বাস্তবটা হজম করতে পারছেন না। যাঁরা নিয়মিত পণ্ডিত নেহরু, ইন্দিরা গান্ধীজি, সোনিয়াজি এবং রাহুলজি'কে চূড়ান্ত নোংরাভাবে আক্রমণ করেন।’