রাজ্যে চলছে দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ। এরইমধ্যে খড়গপুর সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণের বিরুদ্ধে দলীয় প্রতীক নিয়ে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের কর্মী ও সমর্থকেদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে কী করে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে? অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে তৃণমূলকে নিশানা করে হিরণের পালটা অভিযোগ, ‘গতকাল সন্ধে থেকে তৃণমূলের গুন্ডারা বেরিয়ে পড়েছিল। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, বুথে বুথে তারা লোডশেডিং করেছিল। বিভিন্নরকম কার্যকলাপ করেছে তারা, আমি আর বলছি না। মানুষ জেনে গিয়েছে, মানুষ বুঝে গিয়েছে। ভয় দেখিয়ে সারা রাত ধরে সন্ত্রাস করেছে। মানুষ ভয়মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ চায়। সকাল সাড়ে ছটা থেকে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য ভিড় করেছেন’। পাশাপশি তাঁর পালটা অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখিয়ে ও লোভ দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।
খড়গপুর সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী আরো অভিযোগ তোলেন, এলাকার মানুষকে প্রলোভন দেখানো হয়েছে। নানারকম লেনদেন হয়েছে। তবু মানুষ ভোট দিতে তৎপর। সকাল থেকে লাইন দিয়েছেন। সকলে ভয়মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ চান। খড়গপুর সদরে সকলে উন্নয়ন চান।
এদিতে তৃণমূলের অভিযোগ, আরপিএফ-কে ব্যবহার করে খড়গপুরের বস্তিতে বস্তিতে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। এবিষয় বিজেপির তারকা প্রার্থী আরও বলেন, তাঁরা আরপিএফকে দিয়ে ভয় দেখাতে যাবেন কেন? তাঁরা যে হোটেলে রয়েছেন সেখানে পুলিশের ছয়লাপ। গেট থেকে রাস্তায় পুলিশ ছেয়ে রয়েছে। ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
হিরণেরর প্রশ্ন, ‘কোনও দুষ্কৃতী বা সমাজবিরোধী রয়েছেন নাকি?' তাঁর কথায়,'যারা হোটেলে খেতে বা বুক করতে এসেছিলেন, তাঁরা ভয় পেয়ে চলে গিয়েছেন। আমি আশ্বস্ত করেছি। ওরা পুলিশকে ব্যবহার করছে। মানুষ গতকাল ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আজ তা কেটে গিয়েছে’। তবে হিরণের মতে, উপনির্বাচনে সরকারের হাতে পুলিশ, গুন্ডা সবাই ছিল। তাই ভোট করতে দেওয়া হয়নি। এবার বিপুল ভোট দেবে মানুষ। ৯৫ শতাংশ ভোট পড়বে এবং তাঁরাই জিতবেন।