'আনন্দর খুনীদের ধরবই'। মাথাভাঙাতে গিয়ে বুধবার জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার শীতলকুচির মাথাভাঙাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছিল চারজনের। শীতলকুচির অপর বুথের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল সদ্য ভোটার আনন্দ বর্মনের। এই পাঁচজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে ওঠে। আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ নেত্রী উল্লেখ করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু মাথাভাঙাতে গিয়ে এদিন মমতার মুখে বার বার আনন্দ বর্মনের প্রসঙ্গ।
ঘটনার পরই মাথাভাঙায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্ত কমিশনের নিষেধের জেরে পরের দিনই যেতে পারেননি তিনি। এরপর কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উঠতেই বুধবার মাথাভাঙায় যান তিনি। কিন্ত আনন্দ বর্মনের পরিবার দেখা করবে কিনা তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু মমতার দাবি এদিন মৃত আনন্দ বর্মনের দাদু ও মামা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। মৃত অপর চারজনের পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।
মৃতের পরিজনদের সকলেরই চোখে জল। কারোর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা, কারোর আবার বাড়িতে শিশু সন্তান। একেবারে অথৈ জলে পরিবারগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক এক করে মৃতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস তিনি দেন। মমতা বলেন, ‘কোনও প্ররোচনায় পা দেবেননা।টোটাল বিচার হওয়া দরকার। রাজ্য সরকারও তদন্ত করবে। আমরা কেউ ছেড়ে কথা বলব না। দোষী ব্যক্তি যত বড়ই হোকনা কেন তার শাস্তি হবেই। এটার জন্য যতদূর যাওয়ার যাব। পরিবারগুলিকে সরকার সহায়তা করেছে। বুলেটের বদলে ব্যালটে জবাব দেব। আনন্দর খুনীদের ধরবই’।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘এরা রাজবংশী মুসলমান। আনন্দ বর্মন যে মারা গিয়েছেন সেও রাজবংশী ভাই। এরা সকলেই রাজবংশী। হত্যার নিন্দা করছি। আগাটোমীদিন মানুষ এর জবাব দেবে। এরা গণতন্ত্রের বলি। কমিশন বললে আবার নোটিস ধরাবে। মৃতের স্মরণে ভোটের পর শহিদ বেদি করবে। আমি নিজে আসব। আমাকে পরিবারের নিজের ঘরের লোক বলে মানবেন। ভোটের পর প্রথম আপনাদের কাছে আসব। কথা দিলাম’।