দীর্ঘ টালবাহানা এবং দফায় দফায় বৈঠকের পর মতুয়াদের মন রাখা হল প্রার্থী তালিকায় স্থান দিয়ে। আজ, মঙ্গলবার ১৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে এবার বিজেপির প্রার্থী বড়মার নাতি সুব্রত ঠাকুর। সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ভাবা হয়েছিল সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। তিনি সেই প্রস্তাবে না করাতেই বেছে নেওয়া হয়েছে সুব্রত ঠাকুরকে। এমনকী খোদ অমিত শাহ তাঁর এই বাসনার কথা জানালেও সেই প্রস্তাবে নিমরাজি হন শান্তনু। তার বদলে তিনি মতুয়াদের হাতে টিকিট দেখতে চেয়েছেন। যা এবার করা হল।
এখানেই শেষ নয়, অশোক কীর্তনিয়াকে বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবারই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুর। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। তারপরেই শান্তনুর পরিবর্তে সুব্রত ঠাকুরের নাম রাখা হয় প্রার্থী তালিকায়। রবিবার রাতে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাকি আসনগুলির প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, রাজ্যে অন্তত ৮৪টি কেন্দ্রে ভোটের নির্ণায়ক ফ্যাক্টর মতুয়া গোষ্ঠী। তাদের মন রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টার করেছে পদ্মশিবির। কিন্তু গণ্ডগোল বাধে নাগরিকত্ব নিয়ে। এই নিয়ে শান্তনুও যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, তা বোঝা যায় তাঁর কথাবার্তাতেই। অমিত শাহ মতুয়া গড়ে গিয়ে বলে আসেন, ভ্যাকসিন পর্ব সারলেই নাগরিকত্ব মিলবে। তাতেও মন গলেনি মতুয়াদের। অবশেষে বিজেপির সংকল্পপত্রে বলা হয়েছে নাগরিকত্ব আইন চালু হবে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই। প্রার্থী তালিকাতে মতুয়ারা ব্রাত্য থাকায় যে ক্ষোভ মতুয়া সমাজে পুঞ্জীভূত হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন শান্তনু। অবশেষে বিজেপি বেছে নিল সুব্রত ঠাকুরকে।