নিজের গড়ে কালো পতাকা দেখার পর থেকেই ক্ষেপে উঠেছেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে দাবি করলেন, এবার গ্রামীণ হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙবে। অর্থাৎ তিনি পদ্ম ফোটাবেন। অথচ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘোষণা করেছেন, এবার দলবদলের ঝাঁপ বন্ধ রাখা হচ্ছে। তাহলে ভাঙন ধরবে কিভাবে? যদি বা ধরে তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন? উঠছে প্রশ্ন।
যদিও অচিরেই গ্রামীণ হাওড়াতেও তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙবে বলে দাবি করলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় বিজেপির জেলা (গ্রামীণ) কার্যালয়ে দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন রাজীব। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভাঙনের হাত থেকে গ্রামীণ তৃণমূল কংগ্রেস রেহাই পাবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই সকলে তা দেখতে পাবেন।’
রাজীবের এই মন্তব্যের পর তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন জেলা (গ্রামীণ) তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পুলক রায়। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা ঐক্যবদ্ধ। দল ভাঙার কোনও সম্ভাবনা নেই।’ আসলে এই গ্রামীণ এলাকাটি দেখেন মন্ত্রী অরূপ রায়। যাঁর সঙ্গে অহি–নকুল সম্পর্ক ছিল রাজীবের। আর তাঁকেই ধাক্কা দিতে এই কথা বলেছেন রাজীব বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই গ্রামীণ হাওড়ায় মোট ৮টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে সাতটি তৃণমূলের দখলে এবং একটি আসন কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। রাজীব জানান, ওই আটটি আসনই দখল করার জন্য বিজেপি লড়াই করবে। তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং কুৎসায় নেমেছে, এই অভিযোগ তুলে প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনও কুৎসা করব না। এটা ঠিক, রাজ্যে অনেক কাজ হয়েছে। আরও কাজ বাকি রয়েছে। বেকারদের কাজ দিতে হবে। তাই সেই লক্ষ্যপূরণে আমি কাজ করব।’