প্রার্থী নিয়ে জেলায় জেলায় বিজেপির অন্দরে বিক্ষোভ কিছুটা থিতু হলেও বিক্ষোভ থামছে না উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায়কে মেনে নিতে রাজি নন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। বুধবার প্রার্থীপদ ঘোষণার চার দিন পর কালিয়াগঞ্জে পৌঁছে যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রার্থী। মহিলা মোর্চার সদস্যদের দাবি, ‘চরিত্রহীন’ প্রার্থীর সামনে তাঁরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন।
এদিন কালিয়াগঞ্জে পৌঁছে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌমেন রায়। ওদিকে শহরের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সামিল হন যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার কর্মীরা। মহিলা মোর্চার এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, চরিত্রহীন প্রার্থীর সামনে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি। ওনাকে দেখলে ঝাঁটা-জুতো দিয়ে স্বাগত জানাবো। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে প্রার্থী পরিবর্তন করতে হবে কালিয়াগঞ্জে। স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে সেখানে।
কালিয়াগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীদের দাবি, আলিপুরদুয়ারবাসী সৌমেন রায়কে তাঁরা চেনেন না। জেলা বিজেপি সভাপতি জানান, ফেসবুকে দেখেছি প্রার্থীকে। এদিন কালিয়াগঞ্জে পৌঁছে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌমেনবাবু। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভে রাশ পড়েনি। এরই মধ্যে ‘বহিরাগত’ প্রার্থীর প্রতিবাদে বিধানসভা এলাকায় পদত্যাগ করেছেন ২৫০ জন বিজেপি নেতাকর্মী।
সৌমেনবাবুর প্রার্থীপদ ঘোষণার পর প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিয়ো। তাতে এক মহিলা নিজেকে তাঁর স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে সৌমেনবাবুকে বহুগামী বলে দাবি করেন। এদিনের বৈঠকে মহিলাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করে নেন সৌমেনবাবু। সঙ্গে জানান, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। সঙ্গে তিনি জানান, আমি কোনও সেলিব্রিটি নই যে লোকে আমায় চিনবে। আমি একজন সাধারণ মানুষ। সবাই একজোট হয়ে লড়ে আমরাই জিতবো।