ভোটপ্রচারে এবার নয়া কর্মসূচি নিয়ে এল বিজেপি–র যুব মোর্চা। একুশের ভোটকে সামনে রেখে বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক কর্মসূচি নিচ্ছে। এবার পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে এবার বাইক র্যালি করবে যুব মোর্চা। যার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘যুব আক্রোশ অভিযান’।
নতুন কর্মসূচির রণকৌশল ঠিক করতে বুধবার দিল্লি উড়ে গেলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আগামীকাল যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেখানে থাকতে পারেন বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষও।
এদিন এই কর্মসূচির ব্যাপারে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে রাজ্যের যুব সমাজের প্রতি যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে তার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। শিক্ষিত যুবক–যুবতীরা রাজ্যে কোনও চাকরি পাচ্ছেন না। টেট পরীক্ষার ৬ বছর পর রেজাল্ট বেরোচ্ছে। প্রাইমারিতে দুর্নীতি হয়েছে। বন দফতর, সেচ দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। কোনও নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলার যুব সমাজ। তার জন্য আমরা ‘যুব আক্রোশ অভিযান’ নাম দিয়েছি এই কর্মসূচির।’
কিন্তু এই অভিযানে ‘আক্রোশ’ শব্দটা কেন? এর জবাবও এদিন দিয়েছেন বিষ্ণপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘এতদিনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ঘৃণা, আক্রোশ তৈরি হয়েছে বাংলার যুব সমাজের। চাকরি না পেয়ে আজ যুবক–যুবতী হতাশ। এই হতাশা থেকেই আক্রোশ তৈরি হয়।’
এদিকে, বিজেপি–র যুব মোর্চার এই ‘যুব আক্রোশ অভিযান’কে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আক্রোশ একটা প্ররোচণামূলক শব্দ। আসলে সৌমিত্র খাঁর আক্রোশ দিলীপ ঘোষের ওপর। কারণ, ও যখনই কমিটি করে দিলীপ ঘোষ সেটা বাতিল করে দেন। আর যুব মোর্চার আক্রোশ আসলে মাদার বিজেপি–র ওপর।’ এদিন রীতিমতো সৌমিত্রকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, ‘যার স্ত্রী একটা রাজনৈতিক দলবদল করলে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায় সে অন্যের আক্রোশের কথা কী বলছে?’
উল্লেখ্য, এই একই নামে দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও বেকারত্ব ইস্যুতে গত বছর জানুয়ারি মাসে জয়পুরে ‘যুব আক্রোশ’ র্যালির সূচনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তা হলে কি এবার কংগ্রেসের দেখানো পথে এগোচ্ছে বিজেপি?