এবার নন্দীগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী দিতে চলেছে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআইএম। কারণ তারা প্রথম এই আসনটি ভাইজানের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছাড়বে বলে ঠিক করেছিল। কিন্তু জোটে জট জটিলতা থাকায় এবার নিজেরাই সরাসরি মাঠে নেমে খেলবে ঠিক করেছে। নন্দীগ্রাম আসনের জন্য দু’জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে তারা। দলের সদর দফতর সূত্রে খবর, জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব দু’জন নেতার নাম প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করেছে। এক, জেলা ডিওয়াইএফআই–এর সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েক। দুই, মহাদেব ভুঁইয়া।
পরিতোষ জেলার পরিচিত মুখ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের হয়ে কাঁথি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। তখন অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন তিনি বিজেপিতে। জয়ী প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছিল, দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপরও নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে পরিতোষই। কারণ এবার যদি ভোট ট্রান্সফার না হয় তাহলে লড়াইযের ময়দান জমে যাবে। পরিতোষ প্রার্থী হলে সেটা সম্ভব বলে মনে করছে দল। আর মহাদেব ভুঁইয়া জেলা সিপিআইএমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
এই বিষয়ে পরিতোষ পট্টনায়েক–কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। নন্দীগ্রাম থেকে কী আপনিই প্রার্থী? উত্তরে তিনি হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটালকে (বাংলা) বলেন, ‘এটা দলের বিষয়। দল ঠিক করবে। আমি এখনও কিছুই জানি না। তবে দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করার চেষ্টা করব।’ নন্দীগ্রাম এই মুহূর্তে নজরকাড়া কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কারণ এখানে স্বয়ং প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ভোট কাটাকাটিতে বেরিয়ে যেতে পারেন সিপিআইএমের প্রার্থী। এমন সমীকরণ দেখছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সাল থেকে নন্দীগ্রাম আসনটি বামেদের দখলে ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জয়ী হতেন সিপিআই প্রার্থীরা। ১৯৮২ সালে সিপিআই বামফ্রন্টে যুক্ত হলে নন্দীগ্রাম আসনটি তাদেরই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বামফ্রন্ট। এবার বামফ্রন্ট–কংগ্রেসের জোটে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) যোগ দেওয়ায় সব শরিক দলকেই কম–বেশি আসন ছাড়তে হয়। জোট বৈঠকে, নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী দিতে চায় আব্বাসের আইএসএফ। কিন্তু জোট বৈঠকের সর্বশেষ পাওয়া নির্যাস, নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী দেবে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআইএম।