শনিবার ৫৭ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তবে প্রথম দু’দফা ভোট ৬০টি আসনে হবে। শনিবারই সেই তালিকা ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির।তবে প্রথম দফার যে সংক্ষিপ্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি, তার মধ্যে তিনটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
এই তিনটি আসনের মধ্যে সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য আসনটি হল খড়্গপুর সদর। কারণ খড়্গপুরে এই আসন থেকেই ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।তবে মেদিনীপুর থেকে সাংসদ হওয়ার পর আসনটি ছেড়ে দেন দিলীপ। কিন্তু এরপর উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রদীপ সরকারের কাছে ধরাশায়ী হয় বিজেপি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন ওই আসনে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল না বিজেপি? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দিলীপকে নয়, খড়্গপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবাশিস চৌধুরী ওরফে মুনমুনকে ওই আসনে প্রার্থী করা হবে, তা ভাবনাচিন্তার স্তরে রেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শনিবারই জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদটিও ছেড়ে দিয়েছেন দেবাশিস।একইসঙ্গে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ও পুরুলিয়ার কাশীপুর কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও জানায়নি বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার কাশীপুরের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। বিজেপির একাংশের বক্তব্য, বিদ্যাসাগরকে প্রার্থী করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের যুক্তি, যেহেতু ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রামের সভাপতি সুখময় শতপথি ও মেদিনীপুরে সমিত দাসকে প্রার্থী করা হয়েছে। সেজন্য বিদ্যাসাগরের বিষয়টি আলোচনা করে দেখছে দল।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, জেলা সভাপতিকে প্রার্থী না করার যে যুক্তি দিচ্ছে বিজেপি, তা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। একইভাবে বাঁকুড়ার বড়জোড়া আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। যা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সেই খড়্গপুর সদরই।