নোয়াপাড়া ও বনগাঁর বিধায়ককে নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে এখন গুঞ্জনের অন্ত নেই। তার মধ্যেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংকে নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা নিয়ে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়। যদিও সেই নিরাপত্তা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেই খবর। সূত্রের খবর, বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকেও নিরাপত্তা দিয়ে চেয়েছিল রাজ্য। তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগের হিড়িকের মাঝে উলটপুরাণ? সুতরাং ভোটের মুখে দুই বিধায়কের 'ঘর ওয়াপসি' নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল।
সোমবারই ছিল বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিন। ওইদিন এক উলটপুরাণের সাক্ষী থাকেন রাজ্যবাসী। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় জল্পনাও। দেখা যায়, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। সূত্রের খবর, মমতা নাকি তাঁকে কোনও বিষয়ে ভাবনাচিন্তার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তবে কোন বিষয়ে ভাবনার কথা বলেন, তা স্পষ্ট নয়। খাতায়–কলমে দু’জনেই এখনও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
তাঁরা যখন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন তখন তাঁদের সঙ্গে ছিল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব। ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পার্থ ভৌমিকরা। যদিও একসঙ্গে বৈঠকে থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেন জ্যোতিপ্রিয়। এরপরই রাতে দুই বিধায়কের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসে তখন দলের নবাগতদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছিল। তখন আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিংয়ের মতো দলের শীর্ষ নেতারা। এরপর অনুষ্ঠানের মাঝপথে বিশ্বজিৎ ও সুনীলকে মঞ্চে তুলে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, এরপরই রাজ্যের নিরাপত্তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সুনীল সিংরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তাই রাজ্যের নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। দলবদলের জল্পনাও উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসকে ফের দলে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন।