নন্দীগ্রামের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। তারইমধ্যে রাজ্যের স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিটের অধিকর্তা এবং মুখ্যসচিবের থেকে বিস্তারিত তথ্য চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেইসঙ্গে নির্বাচনের আবহে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আর্জিও জানালেন তিনি।
বুধবার নন্দীগ্রামে চোট পাওয়ার পর রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ মমতাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতালে আসেন ধনখড়। সেই সময় ‘গো ব্যাক বিজেপির দালাল’ স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। বেরনোর সময়ও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তবে সে বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ধনখড়।
কিছুক্ষণ পর টুইটারে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এসএসকেএম গিয়েছিলেন। তার আগে উনি নন্দীগ্রামে থাকাকালীন সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে কথা বলেছিলাম। এই বিষয়ে সিকিউরিটির অধিকর্তা এবং মুখ্যসচিবের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছি। স্বাস্থ্য সচিব এবং হাসপাতালের অধিকর্তাকে যাবতীয় সতর্কতা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’ পরে আরও একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘শুধুমাত্র সর্বত্র শান্তি এবং ঐক্যের পরিবেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রস্ফুটিত হতে পারে। তাতে আইন এবং সংবিধানের সবকিছুর অবদান আছে।’
তারইমধ্যে রাজ্যে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন, পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যদিও মমতার চোট পাওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়, তাহলে তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনের কাছ থেকে পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট এলে দিল্লিতে কমিশনে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।