জেলার দাদারা দেখা করতে পারলেন না দিদির সঙ্গে। অথচ দিদি এসেছিলেন বহরমপুর সার্কিট হাউসে। এমনকী সেখানে রাত্রিযাপনও করেছিলেন। কিন্তু দিদির একান্ত সাক্ষাৎ পেলেন না জেলার দাদারা। হ্যাঁ, এখানে দিদি মানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দাদা মানে জেলার নেতারা। তাঁদের এড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ থেকে মালদা রওনা দিলেন। আর এটা নিয়েই জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেন দিদি দেখা করলেন না দাদাদের সঙ্গে? উঠছে প্রশ্ন।
কালনা থেকে কপ্টার চড়ে বহরমপুরে জনসভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য রাখার আগে জেলার নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়া তেমন কোনও কথাই হল না দিদির। নিজের বক্তব্য শে্য করে সটান তিনি বহরমপুর স্টেডিয়াম থেকে সার্কিট হাউসে চলে গেলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি কারও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলনেত্রীর এই আচরণে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে জেলার নেতারা। এখন তারা খোঁজ করতে শুরু করেছেন নেত্রীর এই আচরণের কারণ কী?
সার্কিট হাউস সূত্রে খবর, এখানে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার–সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে জেলার বিষয়ে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তারপর বৈঠকের পর সেখান থেকেও চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তখনও দাদাদের প্রবেশ ছিল না। আগে কখনও এমন আচরণ করেননি দিদি। তাহলে আজ কী এমন হল, জেলার নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেন না তিনি। এখানের অনেকেই মনে করছেন, জেলার নেতাদের কাজকর্মে খুশি নন নেত্রী। তাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নিজের ক্ষোভ বুঝিয়ে দিলেন দিদি এভাবেই। এখন সবকটি আসন তুলে দিতে পারলেই তবেই দিদির গোঁসা ভাঙবে বলে মনে করছেন জেলার দাদারা।
সকালে সার্কিট হাউসের বাইরে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান, চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা, অরিত মজুমদার সহ দু’তিনজন নেতার সঙ্গে দেখা করেন দিদি। কিন্তু বজ্র আঁটুনি নিরাপত্তায় সার্কিট হাউস থেকে একশো মিটার দূরের হেলিপ্যাড পর্যন্তও দিদির সঙ্গে জেলার দাদাদের হাঁটার অনুমতি ছিল না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী যখন হেলিপ্যাডের দিকে এগিয়ে গেলেন তখনও দিদি একা।