শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ততা তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র তাঁকে ছুঁয়ে যেতে হবে। বিরোধীদের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দলকে আরও মজবুত করাই তাঁর লক্ষ্য। তাই ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করেই রাজ্যের আরও ৩ জেলা সফরে যাচ্ছেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বর্ধমানের কালনায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনই তিনি বর্ধমানের আর এক অনুষ্ঠানে মাটি উৎসবের সূচনা করবেন তিনি। ১০ ফেব্রুয়ারি, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন মুর্শিদাবাদে। সেখানেও তাঁর একটি জনসভা রয়েছে। এর পর তিনি যাবেন মালদায়। ১১ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে সবথেকে খারাপ ফল করে তৃণমূল। সেখানকার ৮টি আসনের প্রত্যেকটিই শাসকদলের হাতছাড়া হয়। তাই উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে জোর দিয়েছেন মমতা। কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উত্তরবঙ্গের কাছেই মুর্শিদাবাদ ও মালদা— এই দুটি জেলা ছাড়া বর্ধমানেও বেড়েছে বিজেপি–র দাপট, দুর্বল হয়েছে তৃণমূল। তাই ভোটের মুখে তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও মালদায় যাচ্ছেন মমতা।
এদিকে, বুধবারই আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মমতা বলেছেন, ‘নির্বাচনের তারিখ সাত-আটদিনের মধ্যে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তাই হাতে আর আমাদের বেশি সময় নেই।’ সেই মতো বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমোও দলীয় কর্মীদের কাজে নেমে পড়তে নির্দেশ দেন। বকেয়া কাজ অবিলম্বে শেষ করার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর সরকার বহু প্রকল্প ও কাজ ঘোষণা করেছে। যা নির্বাচনের পরে করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি রেখেছি। অল্প যেটুকু বাকি আছে, তা নির্বাচনের পরে করে দেওয়া হবে। তাই হাতে আর বেশি সময় নেই। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।’