দিল্লিতে অমিত শাহের কাছে রাজ্যের উন্নয়ন চাইবেন তিনি। দমদম বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের এমনই জানালেন তৃণমূলত্যাগী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে রাজ্যের সার্বিক উন্নতি হয় না।’
এদিন রাজীব বলেন, ‘আমি আগেই উপলব্ধি করেছি, আজকে বলছি। কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে রাজ্যের সার্বিক উন্নতি হয় না। আমার চিন্তা যুব ভাই-বোনেদের কর্মসংস্থান, বাংলার মানুষের উন্নয়ন, খেটে খাওয়া মেহেনতি মানুষের জন্য কিছু করা, সার্বিকভাবে সবার কল্যাণ। সেটা কেন্দ্র, রাজ্য যৌথ উদ্যোগেই করা সম্ভব। আজ আমি ওনার কাছে রাজ্যের কিছু দাবিদাওয়া জানাবো। উনি আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করলে আমি সিদ্ধান্ত নেব দলে যোগ দেব কি না।’
রাজ্যে নেতির রাজনীতির অবসান চান বলে দাবি করে প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, ‘এই কাদা ছোড়াছুড়ির নয়, অনেক কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে। মানুষ এসব পছন্দ করে না। সমালোচনা নয়। মানুষ দেখতে চায় তার রোটি, কাপড়া অউর মকান আছে কি না। মানুষ দেখতে চায় তার মাথার ছাদ আছে কি না। বাসস্থান আছে কি না, নাগরিক পরিষেবা আছে কি না। বেকার যুবকের কর্মসংস্থান আছে কি না এসব নিয়ে আলোচনা করবো’।
সঙ্গে তিনি জানান, পদ নিয়ে ভাবেন না তিনি। বলেন, ‘আজ যদি যোগদান করি আগামিকাল থেকে আমি মানুষের স্বার্থে রাস্তায় নামবো। আমি বিধায়ক বা মন্ত্রী হয়ে জন্মাইনি, বিধায়ক বা মন্ত্রী হয়ে মরবো না। মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চাই। সেই সুযোগ মিলবে বলে মনে হয়’।
রাজীব জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে শনিবার বিকেলে চার্টার্ড বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সঙ্গে থাকছেন রথীন চক্রবর্তী, বৈশালী ডালমিয়া, পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল ও রুদ্রনীল ঘোষ।