ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১,০৫,১২৩ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির দুর্গা মুর্মু। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী ছোটন কিস্কু ৭৭,৫৯৯টি ভোট পেয়েছেন।এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন ছোটন কিস্কু। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন দুর্গা মুর্মু। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের সুনীল তিরকি।
ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্র দার্জিলিং জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই আসনটি (তফসিলি উপজাতির) জন্য সংরক্ষিত। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ফাঁসিদেওয়া (তফশিলি উপজাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁসিদেওয়া ও খড়িবাড়ি সিডি ব্লকের অন্তর্গত। ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি চার নম্বর দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সুনীলচন্দ্র তিরকি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কারোলাস লারকাকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সুনীলচন্দ্র তিরকে তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের ছোটন কিস্কুকে পরাজিত করেছিলেন।
একদা লাল দুর্গ বলে পরিচিত ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে ২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের ছোটন কিস্কু জয়ী হয়েছিলেন। ২০০১ সালে সিপিআইএমের প্রকাশ মিঞ্জ জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের প্রকাশ মিঞ্জ কংগ্রেসের ছাবিলাল মিঞ্জ, ১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের ঈশ্বরচন্দ্র তিরকিকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে সিপিআইএমের পাট্রাস মিঞ্জ, ঈশ্বরচন্দ্র তিরকে ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের চ্যাকো টোরেস সোরেঙ্গকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২, ১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের ঈশ্বরচন্দ্র তিরকে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন।। ১৯৬৭ ও ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের তেনজিং ওয়াংডি জিতেছিলেন। এর আগে ফাঁসিদেওয়া আসনটি ছিল না। ১৯৫৭ সালে সিপিআইয়ের সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার ও কংগ্রেসের তেনজিং ওয়াংডি শিলিগুড়ি যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন।