ভোটের আগে তিনি বলেছিলেন তৃণমূলে থেকে কাজ করা যাচ্ছে না। এরপর তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপি। প্রার্থী হয়ে ভোটেও দাঁড়ালেন। হেরেও গেলেন তৃণমূল প্রার্থীর কাছে।এবার তৃণমূল যথন বিজেপিকে ধরাশায়ী করে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরল, তখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ উত্তরপাড়ায় পরাজিত বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। তাতেই ভোলবদল।এককথায় তাৎপর্যপূর্ণ।
কী কারণে তিনি তাঁর পুরনো কেন্দ্রে হেরে গেলেন, সেই আত্মবিশ্লেষণ পাওয়া না গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে মঙ্গলবার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নের কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ও ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের বিপর্যয়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ নিজের হাতে পালন করেছেন, বিধানসভা ভোটে তাঁর ফল তৃণমূল পেয়েছে।’ উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী বলতে বাধ্য হয়েছেন,‘অস্বীকার করে লাভ নেই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ পুরো বিজেপি এখানে ঝাঁপিয়েছিল।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মানুষ গ্রহণ করেছে।’
একইসঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রবীর ঘোষালের মুখে। তাঁর কথায়, ‘একটা দুর্বলতা তো ছিলই। ভোটার স্লিপ পর্যন্ত পৌঁছোতে পারেনি বিজেপি কর্মীরা।প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনকে মানুষ বেশি গ্রহণ করেছে।’ প্রশ্ন উঠছে, ভোটে হেরে পুরনো দলের নেত্রীর প্রতি কেন এত পঞ্চমুখ হচ্ছেন? তাহলে কি তিনি আবার ফিরতে চান?