একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ওই আসনে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২ মে সন্ধ্যায় এটাই ছিল বড় খবর। তারপর অভিযোগ ওঠে, এই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে কারচুপি। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে রিটার্নিং অফিসারকে। সেই এসএমএস আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তা হলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে।’ এই বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য–রাজনীতি। ওই এসএমএস–এ ইংরেজিতে সেখানে লেখা ছিল, ‘আমাকে বাঁচান। আমার পরিবার শেষ হয়ে য়াবে। আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনও উপায় নেই। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাকে খুন করা হতে পারে। আমাকে ক্ষমা করুন। আমার ছোট মেয়ে রয়েছে’। ওই বার্তা নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার কিশোর বিশ্বাসের বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন প্রশ্ন উঠছে এই এএসএমএস কী কিশোর বিশ্বাসের? সত্যিই কী তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল? কারচুপি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো হয়েছে? এই বিষয়গুলি নিয়ে কিশোর বিশ্বাস বলেন, ‘প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে আমি কিছু বলব না। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে মন্তব্য করার এক্তিয়ার আমার নেই। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন।’ রিটার্নিং অফিসার কিশোর বিশ্বাস কিছু না বললেও এই জল অনেকদূর গড়াবে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা রিটার্নিং অফিসার কিশোরের সঙ্গে এক ব্যক্তির মেসেজ কথোপকথন তুলে ধরেন। সেখানে মমতা বলেন, ‘একজনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি। নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসার জানান, বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। নন্দীগ্রামে মেশিন পাল্টে দেওয়া হয়েছে।’ এবার বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। শপথ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার প্রকৃত সত্য হিসাবে কি বেরিয়ে আসে।