পোস্টাল ব্যালটে 'প্রক্সি' ভোটের চেষ্টা করছেন কলকাতা পুলিশের তিন আধিকারিক। তাতে সামিল আছেন আরও অনেকে। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্রকে চিঠি লিখল বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। নির্দিষ্টভাবে ওই তিনজন পুলিশ আধিকারিকের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে লালবাজারে যান রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন সাংসদ, শিশির বাজোরিয়া এবং সব্যসাচী দত্ত। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে দাবি করা হয়, 'ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'-এর ব্যানারে সর্বস্তরের পুলিশ আধিকারিকদের থেকে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের ফোটোকপি জোগাড় করছেন ইন্সপেক্টর শান্তনু সিনহা বিশ্বাস, সাব-ইন্সপেক্টর তপন কুমার মাইতি এবং সাব-ইন্সপেক্টর বীজিতাশ্ব রাউত। তাতে অন্যান্যরাও যুক্ত আছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিজেপির প্রতিনিধিদের অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকদের পোস্টাল ব্যালটে জোগাড় করে 'প্রক্সি' ভোট দেওয়ার জন্যই সেই কাজ করা হচ্ছে। ‘যা চূড়ান্ত নিয়মবহির্ভূত কাজ এবং কারও ভোট দেওয়ার মৌলিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’
তদন্ত না শেষ হওয়া ওই তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধিদের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তীর্ণতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে ঘাসফুল শিবিরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবিরের প্রতিনিধি দল।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, অভিযোগ তো করতে পারে বিজেপি। কিন্তু অভিযোগ করলে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে হয়। শুধু অভিযোগ দায়ের করলেই প্রমাণ হয় না। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, রাজ্যের কয়েকটি প্রান্ত থেকে স্থানীয়দের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আসছে তৃণমূলের কাছে।