নিজের ঘরেও পদ্ম ফোটাবেন বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলু নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী সভায় উপস্থিত থাকবেন তাঁর বাবা শিশির অধিকারী। সে কথা অবশ্য তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। ছোট ভাই আগেই পদ্মাসনে বসেছেন। নাম সৌমেন্দু অধিকারী। এবার শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরের আমন্ত্রণ পেলেন। এই আমন্ত্রণের কথা তিনি নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন। সাংসদের দাবি, ‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে বিজেপির সর্বোচ্চস্তর থেকে আমাকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
এখন জেলার রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী শান্তিকুঞ্জের সব সদস্যই পদ্মাসনে বসবেন? সরাসরি উত্তর না মিললেও বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের শান্তিকুঞ্জে আগমন এবং শিশির অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতে নতুন সমীকরণের জল্পনার জন্ম দেয়। এখন জল্পনা দেখা দিয়েছে দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই শান্তিকুঞ্জের প্রতিটি বাসিন্দার সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের একটা দূরত্ব আগেই তৈরি হয়েছিল। যার প্রমাণ মিলেছিল শিশির অধিকারীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়ে প্রধানমন্ত্রী সভায় যাবেন কেন? উত্তরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ‘কে বলল আমি তৃণমূল কংগ্রেসে আছি।’
আর এবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা শান্তিকুঞ্জের সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম থেকে আবেগের বশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস মানুষ যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবেন। শুভেন্দুর উপর নন্দীগ্রামের মানুষের ভরসা রয়েছে।’ একইসঙ্গে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দিব্যেন্দু জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলছেন আমাকে দলের প্রত্যেকটি সভাতে ডাকা হচ্ছে। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাহলে কী বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা? সরাসরি সে কথা স্বীকার করেননি তিনি।