একুশে কমপক্ষে ২২১। এভাবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অঙ্ককে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের আসন সংখ্যা আগাম ঘোষণা করে দিলেন প্রত্যয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় এসে অমিত শাহ বারবার বলেছেন, বাংলায় ২০০–র বেশি আসন পাবে বিজেপি। এবার নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতির বাংলা সফরের দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, তৃণমূল ২২১–এর বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরবে। এমনকী নন্দীগ্রাম থেকে অমিত শাহকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি।
দৃপ্ত কণ্ঠে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, শেষ দু’বার যা আসন পেয়েছি, এবার তার থেকেও বেশি পাব। অর্থাৎ, রাজ্যে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শাহকে - নন্দীগ্রামে লড়াই করুন। উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে নিজেই ঘোষণা করেছিলেন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তার পরেই এই ঘোষণা করেন মমতা।
বৃহস্পতিবার রাজ্য–রাজনীতিতে ছিল ঘটনাবহুল দিন। কারণ একদিকে, বঙ্গসফরে এসে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। মমতাও পালটা জবাব দিতে দেরি করেননি। দিনের দু’টি পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চড়া সুরে বিঁধেছেন। পরে বিকেলে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সম্মেলনে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘আমার আত্মবিশ্বাস এখন ১১০ শতাংশ। আগের দু’বারের চেয়ে বেশি আসন পাব। ২২১টির বেশি আসনে জিতবই।’
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে তিনি আলাদা করে দেখছেন না বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যাঁর লড়াই করার সাহস আছে, সে কখনও ভয় পায় না। আমি স্ট্রিটফাইটার, প্রত্যেকদিন রাস্তায় নেমে লড়াই করি। নির্বাচন একটা রুটিন ব্যাপার।’ মতুয়াদের ভোট পেতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন আবারও নাগরিকত্ব আইন উস্কে দিয়েছেন। তা নিয়েও মমতার উত্তর, ‘সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে আবার ক্যা–কু করতে এসেছেন। কিন্তু এখানে ট্যাফু করা যাবে না।’