আংশিক নয়, একেবারে পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকায় প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটে একসঙ্গে রাজ্যের ২৯৪ টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিন পর নির্বাচনী ইস্তাহারও প্রকাশ করা হবে।
গতবারও শুক্রবারই (৪ মার্চ) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। মমতা বরাবরই সন্তোষী মা'র পুজো করেন। সেজন্য শুক্রবারকে ‘পয়া’ দিন হিসেবে মনে করেন। সেই প্রথা মেনে এবারও শুক্রবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে চলেছেন মমতা। গতবার সেই 'পয়া' দিনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিধানসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল তৃণমূল। একা লড়াই করে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। একাধিক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও এবার তৃণমূলের চ্যালেঞ্জটা অবশ্য বেশি কঠিন।
একইভাবে একাধিক তৃণমূল নেতার কাছেও সেই চ্যালেঞ্জটা কঠিন। তাঁদের জন্যই ‘পয়া’ নাও হতে পারে। এমনিতেই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ৮০ বছরের বেশি কাউকে টিকিট দেওয়া হবে না। যাঁরা অসুস্থ, ধকল কমানোর জন্য তাঁদেরও প্রার্থী তালিকায় রাখা হচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। তার ফলে রাজ্যের একাধিক আসনের বিদায়ী বিধায়করা টিকিট পাবেন না। সেই সঙ্গে পারফরম্যান্সের ভিত্তি করেও অনেক বিদায়ী বিধায়কের টিকিট ভাগ্য নির্ভর করবে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত এক বছর বিধায়কদের সেই রিপোর্ট কার্ড সংগ্রহ করেছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। স্থানীয় কাউন্সিলর, পঞ্চায়েতের সদস্যদের থেকে নেওয়া হয়েছে ‘ফিডব্যাক’। দলীয় স্তরে নিজেও খোঁজখবর নিয়েছেন মমতা। ফলে পারফরম্যান্স খারাপ হলে টিকিট পাবেন না বিদায়ী বিধায়করাও। সেক্ষেত্রে গোঁজ প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও তৃণমূল শিবিরের বিশ্বাস, তাতে আখেরে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং জনমানসে ইতিবাচক বার্তা যাবে যে কাজ না করলে বরদাস্ত করা হবে না।
পুরনো কয়েকজনের বিদায়ঘণ্টার মধ্যেও এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নয়া প্রজন্মকে বাড়তি জোর দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ‘উন্নততর’ তৃণমূলের লক্ষ্যে প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নেবেন তরুণ প্রজন্মের একাধিক স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীরা। মহিলা প্রার্থীর সংখ্যাও নেহাত কম হবে না। সেই সঙ্গে টিকিট পাওয়ার দৌড়ে আছেন টলিউডের একাধিক তারকাও।