জয়কেই পাখির চোখ করেছিলেন তিনি। নিজের লোকসভা এলাকায় সাতটি বিধানসভাতেই জয়ের টার্গেট করেছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের শেষে হাতে রইল শুধু ভাটপাড়া আর জগদ্দল। বাকি ৫টি বিধানসভাই হাতছাড়া। সবুজ ঝড়ে কার্যত ধূলিসাৎ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড়। বাসিন্দাদের মতে, যে গড়ে তিনিই ছিলেন শেষ কথা সেখানে আজ জোড়া ফুলের দাপট।
বীজপুরেও হেরে গিয়েছেন মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়।প্রশ্ন উঠছে কী করলেন অর্জুন সিং? এলাকায় নয়া গুঞ্জন, অর্জুন সিংয়ের দক্ষতাই এবার প্রশ্নের মুখে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে শুধুই ঘাসফুল। ভোটের ফলাফলে হতাশা সামনে আসতেই অর্জুন সিংয়ের মজদুর ভবনও শুনশান হয়ে যায়। বাসিন্দাদের মতে, ব্যারাকপুরের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয় নিশ্চিত করতে নানা কথা বলেছিলেন বিজেপি সাংসদ। ভোটের দিনও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। কিন্তু ফল হল ঠিক উলটো। ব্যারাকপুর, আমডাঙা, নৈহাটি, বীজপুরে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এমনকী নোয়াপাড়াতেও সুনীল সিংকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন,' ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা হবে।' অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'অর্জুন সিংয়ের গুন্ডামির রাজনীতি ব্যারাকপুরের মানুষ প্রত্যাখান করেছে। ভোটে সেটাই প্রমাণিত হল।'
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাস্তবিকই এবারের ফলাফল অর্জুন সিংয়ের গ্রহণযোগ্যতাকে ঘিরেই প্রশ্ন তুলে দিল। ঔদ্ধত্য, ক্ষমতার দম্ভ, হম্বিতম্বির রাজনীতির বিরুদ্ধেই কি রায় দিলেন ব্যারাকপুরের মানুষ? সেই প্রশ্নই উঠছে এবার ব্যারাকপুর জুড়ে।