ঘটনার নাম–শীতলকুচি। আর নির্বাচনী আবহে এই ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। সবার নিশানায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারণ তাদের গুলিতেই চলে গিয়েছে চার–চারটি তাজা প্রাণ। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে শুরু করেছে গোটা রাজ্য তথা নির্বাচন কমিশনের। তাই এবার শীতলকুচি কাণ্ডের পৃথক তদন্ত করবে সিআইএসএফ বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীন শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ওই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরাই৷ কী পরিস্থিতিতে তাঁদের গুলি চালাতে হলো? প্রকৃত ঘটনা কী? তা জানতে তদন্ত করবে সিআইএসএফ বলে ঠিক হয়েছে৷
দু’দিন আগেই নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আর নির্বাচন কমিশন সূত্রেই খবর, এই ইস্যুতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৃথক তদন্ত করার৷ তদন্তের জন্য দিল্লি থেকে রাজ্যে আসছেন সিআইএসএফ–এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও৷ তবে শীতলকুচির ঘটনাস্থলে যাবেন কিনা তাঁরা সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷ ওই দিন বাহিনীর যে জওয়ানরা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিআইএসএফ কর্তারা৷
উল্লেখ্য, শীতলকুচির ঘটনার পরই নির্বাচন কমিশনকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিআইএসএফ৷ সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্রও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ৷ কিন্তু এই বিষয়ে কোনও ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে পারেনি সিআইএসএফ। আর তাতেই চাপ বাড়তে থাকে নির্বাচন কমিশন থেকে সিআইএসএফ আধিকারিকদের।