ভবানীপুরে শাহী প্রচার চলাকালীন বিস্ফোরক অভিযোগ ধেয়ে এলো বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে। কী সেই বিস্ফোরক অভিযোগ? মন্তেশ্বরের জনসভা থেকে গোটা রাজ্যে তখন শোনা যাচ্ছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের কাজ ছেড়ে হিংসা ছড়ানোর চক্রান্ত করে চলেছেন। বিরোধিতা করছি। আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হতে পারে। আমার পা চোট করে দিয়েছেন। এবার খুন করার প্ল্যান করবেন।’ মন্তেশ্বরের জনসভা থেকে এমন বিস্ফোরক অভিযোগই করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে তোলপাড় হয়ে গেল রাজ্য–রাজনীতি। কারণ রাত পোহালেই ভোট–চতুর্থী। আর তার আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এমন অভিযোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
শুক্রবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর নির্বাচনী সভা রয়েছে। মন্তেশ্বর, মেমারি–সহ একাধিক জায়গায় সবা রয়েছে তাঁর। আর সেখান থেকেই অমিত শাহকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘হোম মিনিস্টার দেশের কাজ করছেন না। অথচ কোথায় কীভাবে কার উপর হামলা করা যায়, কীভাবে পুলিশকে দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো যায়। সেসব চক্রান্ত করে বেড়াচ্ছেন। তাই আমি মোদীকে বলব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাঙ্গা লাগাচ্ছেন, ওকে কন্ট্রোল করুন। আমি এসব বলছি বলে আমাকে খুনের চক্রান্ত করতে পারে। কিন্তু আমি কিছুতে ভয় পাই না। যতদিন বাঁচব, বলবই। বাঁচলে বাঘের বাচ্চার মতোই বাঁচব।’
খুনের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আজকে দাঙ্গাবাজরা বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে গুন্ডা এনেছে। আর অমিত শাহ কত টাকা আপনার আছে? ভাবছেন চিরদিন এভাবে চলে যাবে! কোটি কোটি টাকা বিলোচ্ছেন! কাড়ি কাড়ি টাকা না! টাকা ছড়াচ্ছেন! ভাবছেন সব কিনবেন টাকা দিয়ে! কিনুন। কত কিনবেন! কতদিন কিনবেন! বলি, এত টাকা পান কোথায়? এত এত টাকা! কত কত খরচ করেন এক একটা মিটিংয়ে? হিসেব দেবেন! আমি জানি, আমি এসব বলার পরেই আপনারা আমায় খুন করার চক্রান্ত করবেন। আর কারও কাছে পাঁচশো টাকা থাকলে এজেন্সি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আপনাদের এত টাকা এল কোথা থেকে? যদি কেউ প্রতিবাদ না করে ভয়ে চুপচাপ থাকে, আমি করবই।’
এদিন অমিত শাহকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘মাথাভাঙায় আমার তফশিলি প্রার্থীকে গতকাল প্ল্যান করে মারা হয়েছে। অমিত শাহ নোজ এভরিথিং। অমিত শাহ সব জানে। বসে বসে সব প্ল্যানিং করছে। হোম মিনিস্টার এখানে বসে বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। মা–বোনেরা ভয় পাবেন না। লড়াই করবেন। হারবেন না। আপনাদের মত থাকলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। শুনুন, আমাদের দলটা খুব মজাদার একটা দল। আমরা ভাবি, যারা আছে আমাদের দলে তারা ছাড়াও সকলে আমাদেরই লোক। বিজেপির মতো ছদ্মবেশী সাধু নই।’