দেশ তথা রাজ্যজুড়ে করোনার দাপট বাড়ছে। এমনকী করোনায় সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীরা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ৬টি জনসভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভাগুলি করবেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ এই করোনার কোপে পড়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, যোগী আদিত্যনাথ–সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা–নেত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আরও সভা সংক্রমণ বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই পরিকল্পিত কর্মসূচি পালন করা যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাও রয়েছে।
আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের পঞ্চম দফার নির্বাচন। আর সেদিন জোড়া সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পরে দু’দফায় আরও অন্তত চারটি জনসভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এই সভাগুলিতে ভিড় হলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। দুটি সভা রয়েছে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। একটি বোলপুর এবং আর একটি কলকাতায়। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়েরও বেশ কিছু জনসভা রয়েছে রাজ্যে। আজই ফের রাজ্যে আসছেন শাহ। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের এই একগুচ্ছ কর্মসূচি কোভিড বিধি মেনে সামাল দেওয়াটাই এখন কার্যত চ্যালেঞ্জের।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সভাগুলি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন রাজ্য নেতারা বলে খবর। কোভিড পরীক্ষার নিয়মে আরও কড়াকড়ি করার কথা ভাবছে রাজ্য বিজেপি। কর্মীদের কথা ভেবে সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা হবে। সমাবেশে আসা মানুষেরা সকলেই যেন মাস্ক পরেন তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। যাঁদের মাস্ক থাকবে না, তাঁদের দলের পক্ষ থেকে মাস্ক দেওয়া হবে।