দেখতে দেখতে কেটেগেল সুশান্তহীন তিন মাস। আজ, ১৪ সেপ্টেম্বর-ঠিক ৯০ দিন আগের ১৪ জুন জুনের এক অভিশপ্ত দুপুরেই এসেছিল সুশান্তের চলে যাওয়ার খবর। এই কঠিন সত্যিটা আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় সুশান্ত অনুরাগীদের, ব্যতিক্রম নন অঙ্কিতাও। প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছিল ঠিকই, যোগাযোগও ছিল না। কারণ প্রাক্তনের সঙ্গে সৌজন্যের সম্পর্ক রাখায় বিশ্বাসী নন অঙ্কিতা, সে কথা মনিকর্ণিকা মুক্তির সময় স্পটবয়ইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে মনের ‘পবিত্র রিসতা’ কায়েম ছিল সব দিক থেকে। অঙ্কিতার বন্ধুরা সাক্ষী সেই ঘটনার। যে সুশান্তের সঙ্গে সাত-সাতটা বছর কাটিয়েছেন অঙ্কিতা তাঁর প্রয়াণ বড়ো ধাক্কা অঙ্কিতার কাছেও।
যদিও সময়ের নিয়মে অঙ্কিতার জীবনেও এখন তাঁর মনের মানুষের জায়গা পালটেছে। ভিকি জৈনের সঙ্গে গত দু-বছর ধরে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ অঙ্কিতা। শোনা যায় তাঁদের বাগদান পর্বও হয়ে গিয়েছে। তবুও ‘গুগ্গু’ তাঁর জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। সুশান্তকে এই নামেই ডাকতেন অঙ্কিতা। সুশান্তের মৃত্যুর তিনমাস পূর্তিতে একটি আবেগঘন বার্তা টুইট করলেন প্রাক্তন প্রেমিকা। তিনি লেখেন- সব দ্রুত এগিয়ে চলে। জীবনও নিজের ছন্দে চলতে থাকে। কিন্তু আমাদের প্রিয় মানুষদের কিছু স্মৃতি কোনও দিনও ভোলা যায় না। সুশান্ত তুমি আজীবন আমাদের ভাবনার অংশীদার থাকবে। … আজ দেখতে দেখতে তিনমাস হয়ে গেল'।
সবচেয়ে উল্লেখ্য এই পোস্টে অঙ্কিতা ট্যাগ করেন তাঁর প্রেমিক ভিকি জৈন এবং সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি, ও জামাইবাবু বিশাল কীর্তিকে।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেয়। ২০০৯ সালে পবিত্র রিসতার সেটে প্রথম আলাপ সুশান্ত- অঙ্কিতার। সেখান থেকে বন্ধুত্ব এবং প্রেমের সূত্রপাত। টেলিভিশন থেকে সুশান্তের রুপোলি পর্দার জার্নি শুরু হয়, সেই সময়ও পাশে ছিলেন অঙ্কিতা। ২০১৬ সালে আচমকাই ছন্দপতন, ফেব্রুয়ারি মাসে ভেঙে যায় এই সম্পর্ক।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই প্রাক্তন প্রেমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অঙ্কিতা।এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে সুশান্তের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়ার লড়াইয়ে আজও প্রথম সারিতে অঙ্কিতা।
২ সেকেন্ডের খ্যাতি পাওয়ার জন্যই এই কাজ করছেন অঙ্কিতা, রিয়ার বন্ধু শিবানি এই বাক্যবাণে বিঁধেছেন নায়িকাকে, এমনকি রিয়া চক্রবর্তী জাতীয় টেলিভিশনে বসে অঙ্কিতা সুশান্তে বিধবা সাজার চেষ্টা করছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন। তবে সেই সবকিছুর পরোয়া না করে নিজের উপর ওঠা সব অভিযোগের আঙুলের যোগ্য জবাব দিয়েছেন অঙ্কিতা।
সুশান্তের ফ্ল্যাটে অঙ্কিতা থাকেন, সেই ফ্ল্যাটের ইএমআইয়ের টাকাও নাকি দিতেন সুশান্ত-রিয়া এমন দাবি করলে টুইটারে নিজের ব্ল্যাঙ্ক ডিটেলস এবং ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন পেপার প্রকাশ করে দেন অঙ্কিতা লোখান্ডে।
আপতত দেশের তিনটি মুখ্য তদন্তকারী সংস্থা-সিবিআই, ইডি এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এই মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। মাদকচক্রে জড়িত থাকার অপরাধে জেলবন্দি রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, মামলার অপর অভিযুক্ত সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত।