স্বাধীনতা.... মুক্তির,সাম্যের, সত্যের, কল্যাণের। এক দেশের মানচিত্রের গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণই হল প্রকৃত স্বাধীনতা। কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘জয় হোক’ নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সুস্মিতা আনিস। উপলক্ষ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।
বাংলাদেশে নজরুলগীতির পাশাপাশি আধুনিক গানেও তাঁর বেশ পরিচিতি। প্রবাদপ্রতিম ফিরোজা বেগমের ভাইঝি হওয়ার সুবাদে নজরুল ইসলামের গান পরিবার সূত্রেই পাওয়া। তবে এই গানটা বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ এর মূল বক্তব্য। শুধু স্বাধীনতার মানে তো খাতায় কলমের হিসেবে সীমাবদ্ধ হতে পারেনা। প্রকৃত স্বাধীনতা অনেক বৃহত্তর বিষয়। চারিদিকে হাহাকার, নিপীড়িত মানুষের কান্না, অসুখ, মহামারী, নারীদের সামাজিক অসম্মান এই সব থেকে মুক্তিই স্বাধীনতা।
এই গানের মাধ্যমে কালো সাদা ছবির মধ্যে দিয়ে আলোর পথে ফেরার কথা বলা হয়েছে। সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অর্ণব। গানের জন্য তাঁর নতুন করে সংগীত পরিবেশন, গানটির মিউজিক ভিডিয়োকে অনেক বেশী সমৃদ্ধ করেছে। গানের মিউজিক ভিডিয়ো পরিচালনা করেছেন বিশিষ্ট পরিচালক পিপলু আর খান। তিনি সুদূর সুইডেন থেকে এসেছিল চিত্রগ্রহণ করত। শুটিং হয়েছে বন্দরবনের রিমাক্রি অঞ্চলে।
সব মিলিয়ে এই মিউজিক ভিডিয়ো এক অন্য আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সুস্মিতা আনিস জানিয়েছেন, ‘এত বছর পরেও যখন নারীদের উপর নির্যাতন হয়, মানুষের নানা সমস্যা নজরে পড়ে তখন সত্যি নিজেদের স্বাধীন ভাবতে কষ্ট হয়। এই গান সেই কালো সময় থেকে আলোয় ফেরার বার্তাবহ। এই গানে অর্ণবের অসাধারণ সংগীত আয়োজন আর মিউজিক ভিডিয়ো বেশ অন্যরকম বলা যায়। পঞ্চাশ বছর স্বাধীনতার পরেও এখনো নারী নির্যাতন ঘটে, গ্রামের দিকে বাল্য বিবাহ হয়। এই সব ঘটনায় মনে হয় সত্যিই কি আমরা স্বাধীন?’
এই গান সাম্যের কথা বলে। তাই এই গান দিয়েই নতুন করে ভাবাতে চান শিল্পীরা।