গত শনিবার ওপার বাংলা সরগরম হয়ে ওঠেছিল মহিয়া মাহির গ্রেফতারির খবরে। পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল আই মামলায় এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার হন দুই বাংলার এই পরিচিত অভিনেত্রী। সেই সময় পলাতক ছিলেন অভিনেত্রীর স্বামী। উমরাহ সেরে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতেই গ্রেফতার হন নায়িকা। এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। মাহি নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার হওয়ার পর জেলেও যান। আবার তিন ঘন্টার মধ্যে একই আদালতে, একই বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন!
৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাহিয়া মাহির গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন নেট নাগরিকদের অনেকেই, পিছিয়ে ছিলেন না জয়া আহসান, পরীমনির মতো সেলেবরাও। এর মাঝেই জামিনে মুক্তি পেতেই ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গিয়ে মাহি বলেন, সরাসরি ফেসবুক লাইভে এসে গোটা বাংলাদেশের পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলা তাঁর উঠিত হয়নি। এটা তাঁর তাৎক্ষণিক ভুল হয়েছে।
মাহি বলেন, ‘আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি। এক জন পুলিশ আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে না। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটার জন্য দুঃখিত, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য সবার কাছে যাব’। মাহি যোগ করেন, ‘শিগগিরই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্যারের সঙ্গে কথা বলবো। তারাই এটার সত্যতা প্রমাণ করবেন’।
মাহির জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রবিবার সকালে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বাংলাদেশে ফেরেন মাহির স্বামী রাকিব। বিমানবন্দরে আত্মসমর্পণ করেন রাকিব, তাঁকে কোর্টে তোলা হতে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে।
কেন গ্রেফতার হয়েছিলেন মাহি?
বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে মাহিয়া মাহি ও তাঁর স্বামী রাকিব সরকার মানহানিকর তথ্য প্রচার করেছেন, কুৎসা রটিয়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছেন, এমন অভিযোগে পুলিশ শুক্রবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই গ্রেফতার হন মাহি। দেশে ফিরলেই গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে, শুক্রবার রাতেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই শঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।
মাহির স্বামী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক উপ কমিটির সদস্য। বিয়ের পর স্বামীর পদচিহ্ন অনুসরণ করে রাজনীতিতে যোগ দেন মাহি। এই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহি।