'পৃথিবীর সব প্রেমিক আর স্বামীদেরকে বলছি, ভুলেও প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে ক্যান্ডেললাইট ডিনারে নিয়ে যাবেন না!' ভগ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন। কিন্তু বলা নেই, কওয়া নেই কেন হঠাৎ এই কথা বললেন বলিউডের এই রোম্যান্টিক নায়ক?
শুরু থেকেই শুরু করা যাক। নিজেদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রী ঐশ্বর্যকে নিয়ে মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে একটি ক্যান্ডেললাইট ডিনারের পরিকল্পনা ফেঁদেছিলেন 'জুনিয়র বচ্চন।' যেমন ভাবা তেমন কাজ। ব্যাপারটা যারপরনাই সুন্দর এবং রোম্যান্টিক হবে ভেবে রেখেছিলেন অভিষেক। কিন্তু আদতে কী হয়েছিল যার জন্য এহেন মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক? নিজেই জানিয়েছিলেন 'গুরু'-র নায়ক,' সমুদ্র সৈকতে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার দারুণ একটা রোম্যান্টিক ব্যাপার, এমন যেন ভুলেও কেউ না ভাবে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। যাকে বলে জঘন্য ব্যাপার। প্রথমত সমুদ্রের হাওয়া মোমবাতির আলোটাকে বারবার নিভিয়ে দিতেই থাকবে। একটানা। এরপর সৈকতের বালি হাওয়ায় ভেসে ডিনার টেবিলে রাখা খাবারের ওপর মিশে যাবে। তাই আমার কথা শুনলে বলব একেবারেই যেন এই ব্যাপারটা ভুলেও কেউ ট্রাই না করে!'
এখানেই না থেমে রোম্যান্টিকতার প্রসঙ্গে দৃঢ় গলায় 'জুনিয়র বচ্চন' জানিয়েছিলেন,'ভালোবাসার মানুষের জন্য সবথেকে রোম্যান্টিক ব্যাপার হবে সেটাই যদি তুমি তাঁর পাশে থাকো সবসময়। তাঁর সুখ দুঃখের কথা শোনার পাশাপাশি নিজের মতামতও তাঁর কাছে ব্যক্ত করো'। সেই আলোচনা থেকে স্ত্রী ঐশ্বর্যর ব্যাপারে বলতে গিয়ে অভিষেক জানিয়েছিলেন মালদ্বীপে কাটানো সেই সময়ে একেকটা রাত তাঁর প্রায়শই গল্প-আড্ডা মেরে কাটিয়ে দিয়েছেন।' ঐশ্বর্যর সবথেকে ভালো গুণ হলো ওঁর সঙ্গে যেমন ভুলভাল কথা আলোচনা করা যায় তেমন গভীর,তাত্বিক বিষয় নিয়েও ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ করা যায়। ঐশ্বর্য আর আমি স্রেফ পাশাপাশি চুপচাপ বসে হাওয়া খেতে খেতেও দিব্যি সময় কাটিয়ে দিতে পারি!', দাবি অভিষেকের।