করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘মসিহা’ হিসাবে গোটা দেশের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন সোনু সুদ। অভিনেতার সমাজসেবামূলক কাজ এখনও জারি রয়েছে। তবে দিন কয়েক আগেই ২০ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোনু সুদের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে চাঞ্চল্য বি-টাউনে। আয়কর দফতর সোনু সুদের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে। বিতর্কের মাঝেই সোনু জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে খুব মসৃণভাবে চার দিন ধরে তল্লাশি চলেছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সোনু জানিয়েছেন, আয়কর আধিকারিকদের যাতে তাঁর বাড়িতে কোনওরকম সমস্যায় পড়তে না হয় তা সুনিশ্চিত করেছিলেন সোনু। তিনি বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। তাঁরা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত আমার বাড়িতেই তাঁদের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা।’ এমনকি তল্লাশি শেষে আয়কর আধিকারিকদের সঙ্গেও বেশ খানিকক্ষণ আড্ডাও দিয়েছেন সোনু সুদ। তাঁদের উদ্দেশে অভিনেতা সবশেষে বলে বসেন ‘আপনাদের কথা মনে পড়বে’। যা শুনে হাসি চাপতে পারেননি আধিকারিকরা।
সোনু জানিয়েছেন, তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দু’কোটি টাকা ইতিমধ্যেই সমাজসেবায় ব্যয় হয়েছে, অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকা থাকবার কথা মেনে নেন সোনু। তিনি বলেন, ওই টাকায় হায়দরাবাদে একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান তিনি, তাঁর আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। অভিনেতার কথায়, যে কোনও এনজিও সংগ্রহীত অর্থ ব্যয় করবার জন্য এক বছর সময় পায়। সেই সময়ের মধ্যে টাকা ব্যবহার না করতে পারলে তহবিলে জমা রাশি খরচের সময়সীমা আরও এক বছর বেড়ে যায়। তিনি মাস চারেক আগে ওই অর্থ সংগ্রহ করা শুরু করেছিলেন। সেই হিসাবে এখনই ওই টাকার জন্য তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করোনাটা বেমানান। কারুর পরিশ্রমের টাকা তিনি নষ্ট করবেন না আশ্বাস দেন সোনু সুদ। পাশাপাশি জানান, করোনাকালের প্রথম পর্বে নিজের গ্যাঁটের টাকা খরচ করে তিনি সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়েছিলেন। সেইসময় কারুর কাছে হাত পাতেননি।