হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ মাহি ভিজ। একটা সময় দাপটের সঙ্গে ধারাবাহিক এবং রিয়ালিটি শো-তে কাজ করেছেন মাহি। মা হওয়ার পর অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া প্রচণ্ড অ্যাক্টিভ মাহি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।
মা ও একরত্তি মেয়ের সঙ্গে গোয়া থেকে মুম্বই ফিরছিলেন ‘বালিকা বধূ’ অভিনেত্রী। তবে মুম্বইগামী ইন্ডিগোর বিমানে আচমকাই যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়, এরপরই আগুন ধরে যায় প্লেনের ইঞ্জিনে। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের। পরবর্তী ভারতীয় নৌ-সেনা সহায়তায় সকল প্যাসেঞ্জারকে সুরক্ষিত গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভবপর হয়।
‘লাগি তুঝসে লগন’ অভিনেত্রী মেয়ে তারা ভানুশালির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। প্রাণে বেঁচে ফেরার প্রশান্তি মা-মেয়ের চোখেমুখে। মস্তির মুডে একটি সেলফি তুলে জীবন কতটা অনিশ্চিত সেই কথা লিখলেন মাহি। অভিনেত্রী জানান, বিমানের ইঞ্জিন থেকে আগুন বার হতে দেখে তিনি কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রী লেখেন, তাঁর মা তারার হাত শক্ত করে ধরেছিল এবং সকল যাত্রীদের সুরক্ষা প্রার্থনা করছিল।
বিমানের চালক-সহ সমস্ত কেবিন ক্রু ও ফ্লাইট অপরেটারদের উদ্দেশে নিজের কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন অভিনেত্রী। মাহি লেখেন, ‘প্রার্থনা সত্যিই কাজে দেয়। তারা সত্যিই সৌভাগ্য়বান, ওর জন্য প্রার্থনা করুন’। আরও পড়ুন-রয়েছে দু মাসের যমজ সন্তান, মাত্র ৪৫ বছর বয়সে প্রয়াত গুজরাতি অভিনেত্রী!
আদা খান, ভূমিকা গুরাং,ভিনি আরোরা-সহ হিন্দি টেলিভিশন দুনিয়ার অনেকেই মাহির পোস্টে ভালোবাসা জানিয়েছেন। মাহি-র বিমানে আগুন লেগেছে এমনটা জানার পর থেকেই চিন্তায় ঘুম উড়েছিল তাঁর ভক্তদের। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিন্তা জাহিরও করেছেন সকলে। আগেই সুরক্ষিত থাকবার কথা জানিয়েছিলেন মাহি, এবার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিত জানালেন।
অভিনেতা জয় ভানুশালি ও মাহি ভিজের মেয়ে তারার জন্ম হয় ২০১৯ সালে। সদ্যই মেয়ের তৃতীয় জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করেছেন মাহি। এছাড়াও নিজেদের পরিচারক দুই সন্তান রাজবীর ও খুশিরও দেখভাল করেন মাহি ও জয়। মেয়ের জন্মের পর রাজবীর ও খুশিকে অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল মাহির বিরুদ্ধে। সেইসময় মাহি ট্রোলারদের স্পষ্ট জানান, কোনওদিন আইনিভাবে রাজবীর ও খুশিকে দত্তক নেননি তাঁরা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমরা সবাই একটা হ্যাপি ফ্যামিলি। কিন্তু রাজবীর আর খুশির নিজের বাবা-মা আছে। তাই এইসব প্রশ্ন অর্থহীন’।