ব্যাপক সমালোচনা, প্রতিবাদ এবং নিষেধাজ্ঞার ফলে বক্স অফিসে কার্যত মার খাচ্ছে প্রভাস-কৃতি শ্যানন-সইফ আলি খানের আদিপুরুষ। সোমবার ব্যবসা পড়ল একধাক্কায় অনেকখানি। সপ্তাহান্তের শেষ দিনে অর্থাৎ রবিবার যেখানে আয় ছিল ৬০ কোটির উপরে, সেখানে সোমবার ছবি ঘরে তুলল মাত্র ২০ কোটি।
Sacnilk-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সপ্তাহান্তে ভারতে ২২০ কোটি আয় করার পর সোমবার মুখ থুবড়ে পড়েছে। এটি শুক্রবার ৮৬ কোটি, শনিবার ৬৫ কোটি এবং রবিবার ৬৯ কোটি আয় করেছে। এটি বিশ্বব্যাপী ৩৪০ কোটি আয় করেছে। সোমবারের বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্যান এখনও উপলব্ধ নয়।
সোমবার চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ 'ক্র্যাশ' ঘোষণা করেছেন। তিনি একটি টুইটে লিখেছেন, ‘লোকের মুখের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়ল ছবির উপর। সখ্তিশালী উদ্বোধনের পর সপ্তাহান্তে এসে ভেঙে পড়ল ব্যবসা। ইন্ডিয়া বিজ’
সোমবার বেশ কয়েকটি শহরে হয়েছে সিনেমা নিয়ে প্রতিবাদ। এমনকী পড়শি দেশ নেপাল আদিপুরুষ নির্মাতাদের উপর রাগ করে কাঠমাণ্ডু শহরে বলিউডের সব ছবির উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অবশেষে ছবির প্রযোজনা সংস্থা টি সিরিজের তরফ থেকে ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় কাঠমান্ডু মেট্রোপলিটন সিটির মেয়রকে।
চিঠিতে লেখা হয়, ''শ্রদ্ধেয় স্যার, শুরুতেই আমরা ক্ষমাপ্রার্থী যদি কোনওভাবে নেপালের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি। এটা ইচ্ছাকৃত বা ইচ্ছাকৃতভাবে করা কনও ভুল নয়। প্রভাস, যিনি এই ছবিতে রাম তাঁর মুখের ডায়লগটি হল, ‘আজ আমার জন্য লড়াই করতে হবে না। বরং সেই দিনটার কথা ভেবে লড়াই করো যাতে য়খন ভারতের কোনও মেয়ের গায়ে হাত দেওয়ার আগে অপকর্মকারীরা কেঁপে উঠবে।’ এখানে কিন্তু সীতা মাতার জন্মের কোনও উল্লেখ নেই। বরং নারীদের, বিশেষ করে ভারতের নারীদের মর্যাদা বোঝায়, এই সংলাপ বলে গোটা বিশ্বের মহিলাদের মর্যাদা আসলে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা আপনাদের ছবিটি দেখার অনুরোধ করছি। এবং এই ছবির শিল্প সত্তাকে আরও বড় জনতার সামনে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।''
এদিকে ছবি মুক্তির পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছেন আদিপুরুষের চিত্রনাট্যকার মনোজ মুনতাশির শুক্লা। চাপের মুখে পড়ে চিত্রনাট্যকার মনোজ এবং পরিচালক ওম রাউত ছবির সংলাপ বদলের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে তাতেও জনতার রাগ কমছে না। ‘রামায়ণ’ নিয়ে ছেলেখেলা মানতে পারছেন না কেউই!