Tota Roychowdhury: ‘রানি’ আলিয়ার বাবার ভূমিকায় ছক্কা হাঁকিয়েছেন, এবার সইফ-পুত্রর ছবিতে টোটা!

Tota Roychowdhury: বলিউডে এখন তাঁর হাই-ডিম্যান্ড। রানির বাবা চন্দন চ্যাটার্জি হিসাবে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পর ফের চমক টোটার। এবার জওয়ানের ভূমিকায় দেখা মিলবে তাঁর।

টোটার নতুন ইনিংস

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তিন দশক পার করে ফেলেছেন টোটা রায়চৌধুরী। ছোটপর্দার রোহিত সেন হিসাবে জনপ্রিয় তিনি, তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে রকি আর রানির সাফল্য। এখন বলিউড চিনছে তাঁকে।

করণ জোহর পরিচালিত ছবিতে কত্থক ডান্সার চন্দন চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে তাক লাগিয়েছেন তিনি। টোটার সুপরিমিত ও সুপরিণত অভিনয় বাহবা কুড়িয়েছে আরব সাগর পারের তাবড় তারকার। স্বভাবতই এখন একটু বেশি ব্যস্ত তিনি। সম্প্রতি শেয়ার করলেন সুখবর। এবার খাকি উর্দিতে দেখা মিলবে আলিয়ার অনস্ক্রিন বাবার।

অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন কুণাল দেশমুখ পরিচালিত 'দিলের' ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। নিজের চরিত্রের ফার্স্ট লুকও প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। সেখানে তাঁর পরনে সেনার পোশাক, হাতে ক্ল্যাপস্টিক। জওয়ানের পোশাকে তাঁর সুঠাম দেহ সুস্পষ্ট। ডান্স ছেড়ে এবার বন্দুক হাতে দেখা মিলবে টোটার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা লেখেন, 'কুণাল দেশমুখকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা দুর্দান্ত আর পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা আমায় দেবার জন্য। এই ছবিটা আমার মনকে ছুঁয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা করতে পারছি না আগামী শিডিউলের জন্য।' টোটার এই ছবিতে প্রশংসার বন্যা। বাঙালি ভক্তরা জানিয়েছেন, তাঁরা গর্বিত বলিউডে টোটার স্বপ্ন উড়ান দেখে। একজন লেখেন,'সেই ছোট থেকে আপনার ভক্ত, খুব ভালো লাগছে আপনার এই সফল্য দেখে, অনেক শুভ কামনা'।

এখন বলিউডের নয়নের মণি টোটা রায়চৌধুরী। দিলের-এর প্রথম পর্বের শ্যুটিং শেষ হয়েছে। বলিপাড়ায় কানাঘুষো এই ছবিতেও এক স্টারকিডের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন টোটা। খবর, কুণালের এই ছবির নায়ক সইফ পুত্র ইব্রাহিম আলি খান। করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের সরজমিনের সঙ্গেই বলিউড সফর শুরু হচ্ছে ইব্রাহিমের, এটা তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবি।

রকি অউর রানি-র সাফল্যের পরেও পা মাটিতেই রাখতে চান টোটা। তাঁর কাছে চরিত্রই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এক সাক্ষাৎকার তিনি বলেছেন, ‘ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে টলিউড বা বলিউড ভাবব না বটে, কিন্তু বাংলা আমার শিকড়। এই ইন্ডাস্ট্রিই তো আমায় পরিচিতি দিয়েছে, ভালবাসা দিয়েছে। একটি হিন্দি ছবিতে সাফল্য পেয়েছি বলে পত্রপাঠ আরব সাগর পাড়ে পাড়ি দেব না। এটুকু দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, বছরের অনেকটা সময় বাংলাতেই কাজ করতে চাই। জীবিকা নির্বাহের জন্য বাংলা ছেড়ে একেবারে অন্য শহরের বাসিন্দা হব না।’