মহাদেব অনলাইন গেমিং অ্যাপ দুর্নীতিতে উঠে আসছে বি-টাউনের একের পর এক সেলেবের নাম। রণবীর কাপুরকে আগেই তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এবার ডাক পড়ল আরও তিন বলি তারকার। শুক্রবার ইডি-র জেরার মুখে পড়তে হবে কমেডিয়ান কপিল শর্মাকে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় এজেন্সি সমন পাঠিয়েছে হিনা খান এবং হুমা কুরেশিকে।
সংবাদ সংস্থা এনএনআই সূত্রের খবর, মহাদেব বেটিং অ্যাপ কেসে তলব করা হয়েছে কপিল শর্মা ও হুমা কুরেশিকে। অন্যদিকে নিউজ ১৮-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে টেলিভিশেনর আদর্শ বহুরানি অক্ষরা অর্থাৎ হিনা খানকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।
বুধবারই জানা গিয়েছিল এই মামলায় শুক্রবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে রণবীরকে। ছত্তিশগঢ়, রায়পুরের ইডি অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রণবীরের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থার থেকে দু-সপ্তাহের সময় চেয়ে নিয়েছেন রণবীর। আগামিকাল (৬ অক্টোবর) ইডির আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়বেন না রণবীর কাপুর।
ইডি-র ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছ, এই মুহূর্তে রণবীর কাপুর এই আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন কোনওটাই নয়। পুরো বিষয়টাই তদন্ত সাপেক্ষ। বেআইনি বেটিং প্ল্যাটফর্ম মহাদেব অনলাইনের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার সেরেছেন রণবীর। প্রচার সারার জন্য পারিশ্রমিক হিসাবে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন অভিনেতা। শুধু রণবীর নন, এই দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র নজরে রয়েছেন প্রায় ১৭ জন তারকা। আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে একে একে সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
জানা যাচ্ছে, চলতি বছরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিয়ে করেন মহাদেব অনলাইন গেমিং অ্যাপের কর্ণধার সৌরভ চন্দ্রকর (Sourabh Chandrakar)। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেই বিলাসবহুল বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন একাধিক তারকা। বিয়ের জন্য খরচ হয়েছিল ২০০ কোটি টাকা, সেই টাকা নগদে দেওয়া হয়েছিল। কোথা থেকে এল ২০০ কোটি নগদ? প্রশ্নের মুখে সৌরভ চন্দ্রকরের সেই রূপকথার বিয়ে। যেখানে হাজির ছিলেন রণবীর-সহ প্রশ্নের মুখে থাকা বলি সেলেবরা। সৌরভের সেই বিয়েতে পৌঁছেছিলেন টাইগার শ্রফ, শ্রদ্ধা কাপুর, সোনাক্ষী সিনহারাও। সকলেই রয়েছেন ইডির রেডারে।
অনলাইন গেমিংকাণ্ডে গড়াপেটা সম্পর্কে বলি তারকারা কতটা ওয়াকিবহাল? শুধুই কি অ্যাপের প্রচার সেরেছেন তিনি, নাকি শিকড় আরও গভীরে? সে বিষয়েও তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার এই আর্থিক দুর্নীতির মামলার মূল কেন্দ্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেখানেই মহাদেব অনলাইন বুকিং অ্যাপের হেডকোয়াটার। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বেটিং আইনসিদ্ধ, তবে ভারতে আজও বেটিং বেআইনি।