'তখন ৯-৯.৩০টা হবে আমরা কয়েকজন মিলে শো (ফসিলসের) দেখব বলে যাই। ভিড় দেখেই অবস্থা এত খারাপ হয় যে কী বলব। গেটের বাইরে থিক থিক করছে অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ। আমাদের সামনেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করল। অনেকেই মার খেয়েছেন। ভিতরে ঢোকার আশা ছেড়ে ফিরে আসি তখনই। কী যে ভয়ঙ্কর অবস্থা ছিল!' দমদম সঙ্গীত মেলায় ফসিলসের শো দেখতে গিয়ে এমনটাই জানালেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
তবে এটাই প্রথমবার নয়, কিছুদিন আগে মধ্যমগ্রামেও ফসিলসের শোতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখনও খোদ গায়ক সবটার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।
আরও পড়ুন: জন সিনা স্বাধীনতা সংগ্রামী! দাদাগিরিতে খুদের উত্তরে হেসে লুটোপুটি খেলেন সৌরভ
আরও পড়ুন: অ্যানিম্যালে ববির জায়গায় যদি বিরাট থাকত তবে? কল্পনা সত্যি করল AI, দেখুন ভিডিয়ো
৫ জানুয়ারি, শুক্রবার দমদমে দমদম সঙ্গীত মেলায় ফসিলসের শো ছিল। আর অনেকের কাছেই রূপম ইসলাম অনুপ্রেরণা। অন্ধ ভক্ত। তাঁকে একবার দেখার জন্য, তাঁর গান শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন তাঁরা। এমন অবস্থায় যদি সেই শো বাড়ির কাছে অনুষ্ঠিত হয় না ওপেন টু অল হয় তাহলে কে আর সেই সুযোগ ছাড়েন! এদিনও ঠিক একই জিনিস ঘটল। ফসিলসের গান শোনা এবং রূপম ইসলামকে এক ঝলক দেখবার আশায় অগুনতি মানুষ আসেন এই কনসার্টে। আর সেখানেই বাঁধল বিপত্তি। মাঠ লোকে ভর্তি হয়ে যাওয়ায়, আগেরদিনের বিপদ এড়াতে একটা সময়ের পর বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট। তবুও অনেকেই এসে গেটের কাছে জড়ো হন। অবরুদ্ধ হয়ে যায় দমদম রোড। যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: রূপমের শোতে বিশৃঙ্খলা-হুড়োহুড়ি, সময়ের আগে শো শেষ করে কী বললেন গায়ক?
যদিও এদিন পুলিশ এবং আয়োজকরা তৎপর থাকায় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়নি। পুরো অনুষ্ঠান ঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে ভিড় ম্যানেজ করতে বেশ কয়েকবার লাঠিচার্জ করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী তাতে নাকি কেউ কেউ আহত হয়েছেন (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। পুলিশের তৎপরতাতেই যতটা দ্রুত সম্ভব গাড়িগুলোকে সেখান থেকে পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় যাতে সমস্যা না হয়।
এদিন এক ব্যক্তি নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি তাঁর ক্যাপশনে লেখেন যে রাত ১০টা নাগাদও নাকি গেটের কাছে ৩০০০ মানুষ ছিল। তিনি স্থানীয় হওয়া সত্বেও ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি এই ভিড়ের জন্য।