গত মাসে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ায় জোয়া আখতারের পিরিয়ড ফিল্ম 'দ্য আর্চিজ'-এর মাধ্যমে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেছেন অগস্ত্য নন্দা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেল, নানু (দাদু) অমিতাভ বচ্চন যে কতটা জনপ্রিয় সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই তাঁর ছিল না। বরং, তাঁর কাছে ‘হিরো’ ছিলেন মামা অভিষেক বচ্চন। অগস্ত্য জানান, অমিতাভের জনপ্রিয়তা সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন যেদিন তাঁর নানু তাঁর দিল্লির স্কুলে গিয়েছিলেন।
অগস্ত্যর কথায় ‘আমাদের পরিবারের কোনও সদস্যই বাড়িতে কাজ নিয়ে আসে না। যেমন আমার নানা কখনো বাড়িতে কাজ নিয়ে কথা বলেননি। তাই আমিও কখনও কিছু বুঝতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম আর পাঁচজনের মতো আমার নানুও বুঝি সাধারণ। আমি বুঝতে পেরেছিলাম নানুর জনপ্রিয়তা যেদিন তিনি দিল্লিতে আমার স্কুলে আসেন বার্ষিক অনুষ্ঠানে। দেখতাম সবাই ওঁকে দেখে পাগল হয়ে যাচ্ছে। আমি তো প্রথমদিকে এটাও বুঝতে পারতাম না কেন সবাই এমন করছে। এরপর আমি যখন ধীরে ধীরে সিনেমা দেখতে শুরু করি, তখন ব্যাপারটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়।’
তবে মামা সম্পর্কে অগস্ত্য বলেন, বেড়ে ওঠার সময়তে তাঁর মামা (অভিষেক বচ্চন)-ই ছিল তাঁর কাছে হিরো। তাঁর কথায়, ‘আমরা ধুম, হাউজফুল, গুরু-র মতো সিনেমা দেখে বড় হয়েছি। যখন ধুম দেখতাম, মনে হত উফফফ এই বাইকগুলো।’ অমিতাভের ভক্ত সংখ্যা যাই হোক না কেন, অগস্ত্য জানান, তাঁর কাছে প্রিয় নায়ক এখনও তাঁর মামাই।
অভিষেকের সম্পর্কে একটি মজার কথা শেয়ার করতে দেখা যায় অগস্ত্যকে। বলেন, ‘ভাগ্যক্রমে তিনি জ্ঞান দিতে ভালোবাসেন। তা সে যে কোনও বিষয় হোক না কেন। এটা অনেক সাহায্যও করে। আমি শুনি, যেচুকু দরকার নিজের জীবনে প্রয়োগ করি।’
গত মাসে 'দ্য আর্চিস' মুক্তির পর ভক্ত ও অনুগামীদের সঙ্গে রবিবারের ডেটে অগস্ত্যকে নিয়েছিলেন অমিতাভ। প্রতি রবিবার তাঁর জুহুর বাসভবন জলসার বাইরে ভিড় জমান অনুরাগীরা। আর সকলের সঙ্গে বংশের তৃতীয় প্রজন্ম যে পা রেখেছে সিনেমার জগতে, পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বিগ বি।
সেই ছবি ভাগও করে নিয়েছিলেন অমিতাভ নিজের ব্লগে। লিখেছিলেন, ‘লাভের চেয়ে আগ্রহকেই বেশি পছন্দ করা হয়। উত্তরাধিকার বেঁচে আছে… পিতা থেকে পুত্র…পুত্র থেকে পুত্র… তারপর নাতি।’ এরপর শ্রীরাম রাঘবনের ইক্কিস-এ দেখা যাবে অগস্ত্যকে। যা তৈরি হবে পরম বীর চক্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অরুণ ক্ষেত্রপালের জীবনের উপর ভিত্তি করে।