2/7 সম্প্রতি মিশকা থুরি অহনা জিতে নিলেন তাঁর প্রথম অ্যাওয়ার্ড। অনুরাগের ছোঁয়ার জন্য সেরা খলনায়িকার অ্যাওয়ার্ড এল তাঁর ঝুলিতে। এই বিশেষ মুহূর্তের একাধিক ছবি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা গেল অহনাকে সঙ্গ দিতে প্রেমিক দীপঙ্কর সঙ্গ দিলেও, গরহাজির মা চাঁদনী। এমনকী. পুরস্কার পেয়ে যেই পোস্ট করেছেন তাতেও মায়ের নাম এসেছে সবার শেষে। যার কারণে, নেটপাড়া ফের একবার কাঠগড়ায় তুলল বছর কুড়ির এই সুন্দরীকে।
3/7 আসলে প্রেমিক দীপঙ্করকে নিয়েই চাঁদনী ও অহনার মধ্যে চলছে সমস্যা। অভিনেত্রী দমদমের বাড়ি ছেড়ে আপাতত থাকছেন টালিগঞ্জে। মেয়ের ২০ বছরের জন্মদিনে প্রথম চাঁদনী সবাইকে জানান, তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে অহনা। বরের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকে তিনি একা হাতেই মেয়েকে মানুষ করেছিলেন। চাঁদনীদেবীর দাবি, দীপঙ্কর ডিভোর্সি। চরিত্র ভালো নয়। যদিও মায়ের এই দাবি মানতে নারাজ মেয়ে। বরং সাফ জানিয়েছেন, তিনি নিজে দীপঙ্করের মধ্যে কোনও দোষ খুঁজে পাননি।
4/7 প্রাইজ জেতার পর অহনা সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘জীবনে অভিনয়ের জন্য পাওয়া প্রথম পুরস্কার। মিশকাকে দেওয়া প্রত্যেকটা গালি আমার একান্ত কাম্য। অনুরাগের ছোঁয়ার প্রত্যেকটা সদস্যের কাছে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। কিছু মানুষের নাম না নিলেই নয়। আমাদের পরিচালক, আমার কলিগরা। আর ডি (দীপঙ্কর)। আই লাভ ইউ। তোমার মুখে সবচেয়ে বড় হাসি ছিল আমাকে অ্যাওয়ার্ড নিতে দেখার সময়। মা তোমাকে মিস করেছি।’
5/7 অহনার সেই পোস্ট দেখে অনেকেই লেখেন, ‘যেই মা এত কষ্ট করে, এত কিছু করে তোমাকে বড় করল, তার নাম সবার শেষে এল।’ আরেকজন লিখলেন, ‘আজ অন্তত প্রেমিককে ছেড়ে মাকে পাশে রাখতে পারতে। সন্তানরা ক্ষমা চাইলে ছোট হয় না। রিয়েল লাইফে ভিলেন হয়ে যেও না।’ মিশকা বিছানায় শুয়ে ছবিটি পোস্ট করেন সব কটাক্ষের জবাব দিতেই হয়তো। ক্যাপশনে লেখেন, ’বোবার শত্রু নেই'। তবে সেই পোস্টে এসেও কটাক্ষ করে যাওয়ার সুযোগ ছাড়ছে না নেট-নাগরিকরা।
6/7 এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি অহনা মা চাঁদনীর সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে জানিয়েছেন, ‘দীপঙ্কর যে ডিভোর্সি তা মা-কে জানিয়েছিলাম। মা কোনওদিনই এই সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেনি। এমন চেষ্টাও করেছিল যাতে অনুরাগের ছোঁয়া থেকে আমার বা দীপঙ্করের চাকরিটা চলে যায়। বাধ্য হই ওই বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে।’
7/7 আর প্রেমিক দীপঙ্করকে নিয়ে তাঁর মত, ‘মায়ের পোস্টের পর দীপঙ্করকে সকলে মিলে খলনায়ক বানিয়ে দিয়েছে। এখনও অবধি ওর কোনও দোষ আমার চোখে পড়েনি। যদি ৬০ বছরে গিয়ে চোখে পড়ে তখন না হয় সবাইকে জানাব। যদিও মনে হয় না অতদিন বাঁচব।’