টানা ২০ দিনের লড়াই শেষ। পরিবার, ঘনিষ্ঠ, অনুরগীদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। যদিও তাঁর লড়াইটি ছিল দীর্ঘ। আগেও দু'বার ক্যানসার জয়ী তিনি। ব্রেন স্ট্রোক এবং একাধিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৫৯ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী।
ঐন্দ্রিলার দুই চতুস্পদ ভালোবাসা তোজো এবং বোজো। জাতে তারা পাগ। অভিনেত্রী বাড়িতে না থাকলে নিজেদের মতো ঘুরে বেড়াতো তারা। আর দিদি ঐন্দ্রিলা এলেই গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর খেতে শুরু করত। তবে রবিবার বিকেলের চিত্রটা একেবারে আলাদা। এ দিন হাসপাতাল থেকে ঐন্দ্রিলার দেহ প্রথমে কুঁদঘাটের আবাসনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অভিনেত্রীর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
কুঁদঘাটের আবাসনে ঐন্দ্রিলার মরদেহ আসতেই সেখানে সকলের মতো দিদি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে শেষ দেখা করতে আসে তাঁর দুই সারমেয়। অবলা জীব। মুখে না বলতে পারলেও এ দিন দিদির উপর আর ঝাঁপিয়ে পড়েনি তারা। ঐন্দ্রিলাকে দেখে তারা চুপচাপ। মুখে টু শব্দটি ছিল না তোজো-বোজোর। ঐন্দ্রিলার দেহ বাড়ি থেকে শ্মশানযাত্রার আগে একবার মাত্র ডাক দুজনেরই।
কুঁদঘাটের আবাসনে থেকে ঐন্দ্রিলার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় টালিগঞ্জের স্টুডিয়ো পাড়ায়। রাত পৌনে আটটা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।