করণ জোহরের চ্যাট শো-তে সর্বশেষ অতিথি হিসেবে দেখা মিলেছিল রোহিত শেট্টি আর অজয় দেবগনের। সিংঘম এগেইন-এর নায়ক-পরিচালককে নিয়ে আড্ডা বসেছিল করণের কফি কাউচে। আর সেখানে কথা প্রসঙ্গে, অজয় আর রোহিত দুজনেই নিজেদের বাবাদের বলিউড জার্নি নিয়ে কথা বলেন। অজয়ের বাবা বীরু দেবগন এবং রোহিতের বাবা এমবি শেট্টি দুজনেই ছিলেন বলিউডের বিখ্যাত স্টান্ট আর্টিস্ট।
অজয় জাানান, ‘মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা পালিয়ে মুম্বই আসে। টিকিট কাটেনি বলে জেলেও যেতে হয়েছিল। কোনও কাজ ছিল না, ফলে ছিল না খাবারও। একজন সেই সময় ওকে সাহায্য করে বলেছিল, তুমি রোজ আমার গাড়ি ধুয়ে দেবে, তাহলে আমি তোমাকে গাড়ির মধ্যে ঘুমোতে দেব।’
অজয় জানান এরপর ছুটোর হিসেবে কাজ শুরু করেন তাঁর বাবা। সেই সময় তিনি এলাকার একটি গ্যাংয়েরও সদস্য ছিলেন। একসময় এরকম দুটো গ্যাংয়ের মধ্যে মারামারি হচ্ছে, আর সেই সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি খান্না-র গাড়ি। তিনি নাকি গাড়ি থামিয়ে দেখেছিলেন ধীরু দেবগনকে। মারামারি থামলে ডেকে জানতে চান ‘তুই কি কাজ করিস’? শুধু তাই নয়, রবি খান্না আরও বলেন, ‘মারামারি ভালো করিস তুই। এসে আমার সঙ্গে দেখা করবি’। আর এভাবেই, একদম অপ্রত্যাশিতভাবে সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখেন অজয়ের বাবা।
রোহিতের বাবা এমবি শেট্টি স্টান্টম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেন, পরে স্টান্ট কোরিওগ্রাফার হিসেবেও করেছেন বহু প্রোজেক্ট। ‘আমার বাবাও ১৩ বছর বয়সেই এসেছিলেন মুম্বই। এরপর প্রথম কাজ ছিল রেস্তোরাঁতে। সেখান থেকেই বডি বিল্ডিং, বক্সিংয়ের হাতেখড়ি। আর ওঁর সুঠাম চেহারা, ৬ ফুটের উপর উচ্চতা দেখে একজন বুদ্ধি দিয়েছিল, ‘তুই কেন সিনেমায় যাচ্ছিল না’। তারপর উনি আসেন সিনেমায়। রবি খান্না স্যারের সঙ্গে সাদাকালো ছবি আজিম ভাই-তে কাজ করেন সবার প্রথমে। ধীরে ধীরে স্টান্ট কোরিওগ্রাফার হিসেবে উন্নতি লাভ করেন। ’
রোহিত আরও জানান, তাঁর মা নিজেও ছিলেন একজন স্টান্ট আর্টিস্ট। আর কাজের সূত্রেই আলাপ দুজনের। তবে খুব ছোট বয়সেই মারা যান বাবা। তাঁর মা ফের কাজ শুরু করেন সিনেমায়, তাও আবার জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে। আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে কাটাতেন তাঁরা দিন। অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হয় যখন ১৭ বছর বয়স থেকে সিনেমার জগতে কাজ করা শুরু করেন।