ডিপফেক নিয়ে যেন উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা দুই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। রশ্মিকা মন্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজলের পর এবার এই ডিপফেক টেকনোলজির শিকার হলেন আলিয়া ভাট। তাঁর ভুয়ো ছবি, ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ব্যবহার নিয়ে।
আলিয়ার ডিপফেক ভিডিয়ো
যে ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সেখানে একটি মেয়েকে নীল রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টের স্লিভলেস কোঅর্ড ড্রেস পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর মেয়েটির মুখের জায়গায় দেখা যাচ্ছে আলিয়া ভাটের মুখ। ক্যামেরার সামনে সেই মেয়েটি একাধিক অশ্লীল আচরণ করছেন। বসে, হাত তুলে নানা অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় তাঁকে। অনেকেই এই ভিডিয়ো দেখে বুঝেছেন যে সেখানে থাকা মেয়েটি মোটেই আলিয়া ভাট নন। আসল মেয়েটির মুখের জায়গায় মর্ফ করে আলিয়ার মুখ বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের কাল্পনিক গল্পেই বাজিমাত! বুকার প্রাইজ জয় আইরিশ পল লিঞ্চের
আরও পড়ুন: ফসিলস ঝড়ের সাক্ষী রইলেন মধুমিতা-রাজদীপরা, রূপমের গানে জমিয়ে হেড ব্যাং অনিন্দ্যর
কাজল-রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রোজি ব্রিনের একটি পোশাক বদলানোর ভিডিয়োতে কাজলের মুখ বসিয়ে সেটা ভাইরাল করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখা যায় আসল মহিলার মুখ। আর সেখান থেকেই স্পষ্ট হয় সেই ভিডিয়ো ডিপফেক টেকনোলজি ব্যবহার করে বানানো হয়েছে।
রশ্মিকার বেলাতেও দেখা যায় একজন মহিলা যিনি কালো পোশাক পরে লিফটে উঠছিলেন সেখানে তাঁর জায়গায় অভিনেত্রীর মুখ মর্ফ করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিপফেক টেকনোলজি দিয়ে মূলত একজনের মুখ বদলে তাঁর জায়গায় আরেকজনের মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। আর বলাই বাহুল্য এটা কোনও ভালো কাজে ব্যবহৃত হয় না। সেখান থেকেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের এই ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রমশ।